০৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার মণ পেঁয়াজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার মণ পেঁয়াজ। বেশি লাভের আশায় গুদামজাত করা প্রতিটি বস্তায় জন্মেছে শেকড়-বাকড়। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রথমবারের মতো এসি কন্টেইনারে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে এমন সমস্যায় পড়েছেন তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত ও বেপোরোয়া আমদানীর ফলে পেঁয়াজের দাম এখন সস্তা হলেও এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিনের মধ্যে ফের বাজার চড়ার আশংকা রয়েছে।

খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদামের চিত্রই এখন এমন। পেঁয়াজ ভর্তি বস্তায় গজিয়েছে শেকড়-বাকড়, কোনটাতে বড় হয়েছে গাছও। খুচরা বাজারে পেয়াজের দাম এখনো চড়া থাকলেও পাইকারী বাজারের এমন পেঁয়াজ কেনার আগ্রহ নেই কারো। তাইতো প্রতি কেজি মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা দাম হেঁকেও বিক্রি করতে পারছেন না আমদানীকারকদের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ার পর দুরের দেশ থেকে এসি কন্টেইনারে করে পেঁয়াজ আনতে গিয়েই এমন বিপত্তিতে পড়েছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেলবছর অনেকে ভালো লাভ করায়, এবার সবাই ঝুঁকেছেন পেঁয়াজে। আর এতেই উপচে পড়েছে বাজার। ফলে একসঙ্গে লোকশানে পড়েছেন সবাই। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি , আমদানী নির্ভর পণ্যগুলোর হিসেব নেই সরকারের কাছে। আর তাই বেপোরোয়া আমদানী করে লোকসানে পড়েন আমদানীকারকরা।

এখনো কয়েক হাজার টন পেয়াজ ভর্তি কন্টেইনার এসে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে। লোকশানের আশংকায় আমদানীকারকরা তা খালাসে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতিটি পণ্যের চাহিদা আর লোকাল উৎপাদনের পরিসংখ্যান হিসেব করে এলসি করার অনুমতি দিতে হবে সরকারকে। নইলে এমন অস্থিরতা তৈরী হবে মাঝে মধ্যেই।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার মণ পেঁয়াজ

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০

দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পচে যাচ্ছে হাজার হাজার মণ পেঁয়াজ। বেশি লাভের আশায় গুদামজাত করা প্রতিটি বস্তায় জন্মেছে শেকড়-বাকড়। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রথমবারের মতো এসি কন্টেইনারে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে এমন সমস্যায় পড়েছেন তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত ও বেপোরোয়া আমদানীর ফলে পেঁয়াজের দাম এখন সস্তা হলেও এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিনের মধ্যে ফের বাজার চড়ার আশংকা রয়েছে।

খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদামের চিত্রই এখন এমন। পেঁয়াজ ভর্তি বস্তায় গজিয়েছে শেকড়-বাকড়, কোনটাতে বড় হয়েছে গাছও। খুচরা বাজারে পেয়াজের দাম এখনো চড়া থাকলেও পাইকারী বাজারের এমন পেঁয়াজ কেনার আগ্রহ নেই কারো। তাইতো প্রতি কেজি মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা দাম হেঁকেও বিক্রি করতে পারছেন না আমদানীকারকদের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ার পর দুরের দেশ থেকে এসি কন্টেইনারে করে পেঁয়াজ আনতে গিয়েই এমন বিপত্তিতে পড়েছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেলবছর অনেকে ভালো লাভ করায়, এবার সবাই ঝুঁকেছেন পেঁয়াজে। আর এতেই উপচে পড়েছে বাজার। ফলে একসঙ্গে লোকশানে পড়েছেন সবাই। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি , আমদানী নির্ভর পণ্যগুলোর হিসেব নেই সরকারের কাছে। আর তাই বেপোরোয়া আমদানী করে লোকসানে পড়েন আমদানীকারকরা।

এখনো কয়েক হাজার টন পেয়াজ ভর্তি কন্টেইনার এসে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে। লোকশানের আশংকায় আমদানীকারকরা তা খালাসে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতিটি পণ্যের চাহিদা আর লোকাল উৎপাদনের পরিসংখ্যান হিসেব করে এলসি করার অনুমতি দিতে হবে সরকারকে। নইলে এমন অস্থিরতা তৈরী হবে মাঝে মধ্যেই।