চট্টগ্রামের দ্বিতীয় রিং রোড প্রকল্পটি তড়িঘড়ি করে বুঝিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত দ্বিতীয় রিং রোড কাম শহর রক্ষা বাধ প্রকল্পটি তরিঘরি করে সিডিএকে বুঝিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, মরিচা পড়া রড, ননব্র্যান্ডের সিমেন্ট, ইটের বদলে রাবিশসহ নিন্মমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরী করা প্রকল্পটি পর্যালোচনা বা ল্যাবটেস্ট এড়াতে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিন্ডিকেটটি। ঠিকাদার কিংবা পিডি কথা না বললেও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিডিএ। আর পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলে নেয়া লুটপাটের এই প্রকল্পটি ফের পর্যালোচনা করার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কর্ণফূলী নদীর পারঘেষে নির্মাণাধীন চার লেইনের এই সড়কটি বাইপাস রোড হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি শহররক্ষা বাধ হিসেবেও কাজ করবে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে শুরু হয়। প্রকল্পটি এতদিন ধীরে চললেও গতি পেয়েছে জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কেনা মাটি দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও নদী ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে বাধ তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া ইটের খোয়ার বদলে রাবিশ, অক্ষ্যাত কোম্পানির সিমেন্ট, মরিচা পড়া রড, সিলেটি বালির বদলে লোকাল বালিসহ নিন্মমানের সব নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। সরকার পতনের পর ল্যাবটেস্টসহ আনুসাঙ্গীক প্রতিবন্ধকতা এড়াতে তড়িঘরি করে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে তৈরী হয়েছে সিন্ডিকেট। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিন্মমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বাধটি দুর্বল হওয়ায় ঝুঁকিতে পড়বে পুরো নগরী।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সাইটেও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ দৃশ্যমান। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠানটির কোন কর্মকর্তা।
প্রকল্প পরিচালকের দফতরে বারবার ধর্ণা দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী।
মহানগর আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য ও সাবেক এমপি আব্দুস সালাম চেয়ারম্যান থাকার সময় বড় এই লুটপাটের প্রকল্পটি গ্রহণ করে সিডিএ।
বর্তমানে খাতা কলমে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে প্রকল্পটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফের পর্যালোচনা ও ল্যাবটেস্টের দাবি জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।