চট্টগ্রামের বাজারে আতপ চালের তীব্র সংকট তৈরী হয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের বাজারে আতপ চালের তীব্র সংকট তৈরী হয়েছে। সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতেও কমে এসেছে মজুদের পরিমাণ। এই বাস্তবতায় সরকার আমদানী করে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করলেও আতপ চালের প্রধান উৎস মিয়ানমারে হঠাৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সেখানেও তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে খুব শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে বলে আশার কথা জানান জেলা খাদ্য কর্মকর্তা। এদিকে সংকটের অজুহাতে গেল ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা করে। ব্যবসায়ী আর মিলারদের দাবি, সিদ্ধ চালের মতো আতপ চালও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আমদানী করার অনুমতি না দিলে কাটবে না অস্থিরতা।
গেলো আমন মৌসুমে বাজারে ধানের দাম চড়া থাকায় সরকারি খাদ্য গুদামে এক কেজি চালও দেননি মিলাররা। ফলে দেশীয় উৎস থেকে ৮ লাখ মেট্রিকটন ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় সরকার। একদিকে করোনা মোকাবিলা, অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের খাবার যোগাতে গিয়ে— টান পড়ে খাদ্য গুদামে। সংকট কাটাতে প্রথম পর্যায়ে সিদ্ধ চাল আমদানীতে মনোযোগ দেয় খাদ্য বিভাগ। এতে আতপ চালের সংকট দেখা দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনার একাংশে।
আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানীতে নানান শর্ত বেধে দেয়ায় আতপ চালের বাজারে চলছে অস্থিরতা। কিন্তু এক্ষেত্রে সিদ্ধ চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে সরকারি খাদ্যগুদামের আতপ চালের তীব্র সংকট মেটাতে বিকল্প উপায়ে খোঁজা হচ্ছে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এতোদিন ভারত থেকে সিদ্ধ চাল আর আতপ চালের জন্য মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করতো সরকার। সম্প্রতি চাল নিয়ে ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছলেও, মিয়ানমারের চালান নিয়ে তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা। বোরো মৌসুমের ফসল কৃষকের গোলায় উঠতে এখনো অনেক সময় বাকী। তাই আমদানীকে সঠিক পরিকল্পনা আর বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টটা। না হলে অস্থির চালের বাজারের লাগাম টানা মুশকিল হবে বলে মনে করছেন তারা। ফুটেজ-৪