চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ প্রজাতির মা মাছ
- আপডেট সময় : ১১:০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
দেশীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ প্রজাতির মা মাছ। রীতি অনুযায়ী বর্ষাকালে মৌসুমী বৃষ্টির শুরুতে নদীর পানি ঘোলা হয়ে উঠলে, ডিম ছাড়তে শুরু করে মা মাছ। অতীতের সবরেকর্ড ভঙ্গ করে এবার ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম আহরণ হয়েছে। হালদা গবেষকরা বলছেন, নদী দুষণ রোধ ও মা মাছ নিধন বন্ধ করার সুফল হিসেবে ডিমের পরিমান বেড়েছে।
সকাল সাড়ে ৭ টায় পানিতে ডিমের দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন উৎসব শুরু হয় হালদা পাড়ে। বিশেষ ধরণের নৌকা, জাল আর বালতি নিয়ে ডিম সংগ্রহে ব্যাস্ত হয়ে ওঠেন ডিম আহরণকারিরা। ২৮০টি নৌকা নিয়ে জোয়ার ভাটা হিসেব করে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গরদুয়ারা, আজিমের ঘাট, নাপিতের ঘোনা, আমতুয়া ও রামদাশ মুণ্সির হাটের ৫ টি পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ শুরু করেন তারা।
প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ডিম সম্ভবা মা মাছ আসে হালদা নদীতে। এপ্রিল/মে তে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি ঘোলা হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ে মা মাছ। হালদা গবেষকরা বলছেন, অন্যবারের চেয়ে এবার দুষণের মাত্রা কম আর নদীতে বিপুল পরিমান মা মাছের আনাগোনা থাকায় ডিম আহরণে রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়েছে।
জেলা মৎস কমকর্তা বললেন, করোনার কারণে যাতে ডিম সংগ্রহ থেকে শুরু করে রেণু রূপান্তর ও বাজারজাত করতে কেউ সমস্যার সম্মুখিন না হয়, সে ব্যাপারে ব্যপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে হালদা থেকে সংগ্রহ করা ডিমের পরিমান ছিলো ২২ হাজার কেজি। কিন্ত গেল বার তা নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৭ হাজার কেজি। আর এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ডিম আহরণ হলো ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি।