চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর হার আশানুরুপভাবে কমেনি
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যুর হার আশানুরুপভাবে কমেনি । চলতি মাসের শুরুতেও নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভের হার ছিল ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ। এখন নেমেছে ১২ থেকে ১৪ শতাংশে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছরের শুরুতে করোনার পরবর্তী ঢেউ আসতে পারে। এই সময়ের মধ্যে টিকাদান কর্মসুচী জোরদারসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
চলতি মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে করোনা হাসপাতালগুলোতে জায়গা ছিলো না, একটি আইসিইউ বেডের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জন মুমুর্ষু রোগীকে সিরিয়ালে থাকতে হতো প্রতিনিয়ত। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন সাধারণ বেডের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ফাঁকা। আর আইসিইউ বেডগুলোর ২০ শতাংশই খালি। তবে এতেও আত্মতুষ্টি দেখছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা শুরুর সময়ের চেয়ে এখনকার পরিবেশ অনেকটাই আলাদা। কারণ ইতিমধ্যে বড় একটি জনগোষ্টির মধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরী হয়েছে। টিকা পাওয়া মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই একটু পরিকল্পিতভাবে চলতে পারলে সংক্রোমনের হার বাড়ার আশংকা দেখছেন না এই বিশেষজ্ঞ।
চিকিৎসকরা বলছেন, গেল দেড় বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী করোনার পরবর্তি ঢেউ আসতে আরো কয়েকমাস বাকি। তাই এই সময়ের মধ্যেই নিতে হবে প্রস্তুতি। নইলে এবারের মতো সংকট তৈরী হবে আবারো।
গেল বছরের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতি দিয়ে বার বার ওঠা-নামা করেছে করোনার প্রাদুর্ভাব। উর্দ্ধমুখি সংক্রোমনের সময় কিছুটা গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও মাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাটা পড়ে করোনা প্রতিরোধের প্রস্তুতিতেও। তাই পরবর্তি ঢেউয়ে বারবারই খেই হারিয়ে ফেলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।