চট্টগ্রামে পাহাড়ের নিচে অবৈধ বসবাস কয়েক হাজার পরিবারের
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে শতাধিক পাহাড়ের ঢাল ও পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। অথচ, জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা নেই। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালালেও, তাতে সুফল মিলে না। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে পাহাড় ধসে হতাহতের তালিকা। জেলা প্রশাসক জানান, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তরিক না হলে তাদের কিছু করার নেই। আর নগরবিদরা বলছেন, এ ব্যাপারে সরকারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার দুর্গম এই পাহাড়ি বেস্টনির মধ্যে বরিশাল ও ভোলা থেকে আসা হাজার খানেক পরিবারের বাস। পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা সড়ক, রয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন।রেলওয়ের মালিকানাধিন পাহাড়ে অন্তত ২০ বছর ধরে গড়ে উঠেছে বিশাল বসতি।
শনিবার ভোরে পাহাড় ধ্বসে চারজন নিহত হওয়ার আগে, এতোবড় দখল রাজ্যের কথা প্রশাসন জানতোই না। শতাধিক পাহাড়ে আছে এমন অবৈধ বসতি। বাসিন্দারা বলছেন বছরের পর বছর ধরে বিনা বাধায় রয়েছেন তারা। মাঝে মধ্যে ঝুট-ঝামেলা হলেও সবাই ভাগ-যোগের টাকায় তা ম্যানেজ করেন।
ব্যক্তি মালিকানার বাইরে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অধিনে। তাই এককভাবে জেলা প্রশাসনের কিছু করার নেই বলে অসহায়ত্বের কথা জানান জেলা প্রশাসক।
নগরবিদরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণেই অল্প বৃষ্টিতে ধসের ঘটনা ঘটছে। নির্বিচারে পাহাড় দখল ও ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
২০০৭ সালের ১১ জুন পাহাড় ধসে একদিনে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। এরপর পাহাড় ধসের ২৮টি কারণ চিহ্নিত করে ধস ঠেকাতে ৩৬ দফা সুপারিশ করে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। কিন্তু ১৫ বছরেও এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।