০২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়াসা। ট্রিটমেন্টপ্লান্টসহ নগরীকে ৬টি ভাগে ভাগ করে প্রথম অংশের কাজ শুরু
হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে হালিশহর-আগ্রাবাদ আর ২০৩৫ সালের মধ্যে পুরো নগরী আসবে সুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায়। ওয়াসার দাবি, এতে কর্ণফূলী ও হালদা নদী দুষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি সভ্য হয়ে উঠবে বন্দর নগরী। আর নগরবিদরা বলছেন, পরিকল্পিত নগরীর জন্য স্যুয়ারেজ অনেক গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু পাহাড়ি এলাকাসহ নানা কারণে চট্টগ্রামে প্রকল্প বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জের। সোহাগ কুমার বিশ্বাসের প্রতিবেদন। ছবি তুলছেন অমিত দাশ।

চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও ওয়াসার। কিন্তু এতোদিন শুধু পানির যোগান দিলেও বর্জ্য নিয়ে মাথা ঘামায়নি প্রতিষ্ঠানটি

আর তাই গোটা নগরীর ছোট বড় অন্তত ৪ লাখ ভবনের ৬০ লাখ মানুষের পয়:বর্জ্যসহ সবধরনের বর্জ্য নালা-নর্দমা ও খাল হয়ে মিশছে কর্ণফূলী আর হালদাতে। এতে ভয়াবহভাবে দুষনের শিকার হচ্ছে নদী দুটি। দেরিতে হলেও এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা

গোটা নগরীকে ৩ টি প্যাকেজে ৬টি ভাগে ভাগ করে প্রথম অংশের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সাগরপারের জমিতে প্রথম প্যাকেজের ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ ২৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অন্য দুটি প্লান্টের ভুমি উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। আবাসিক এলাকায় পাইপলাইন স্থাপনের কাজও হবে শিগগির।

নগরবিদরা বলছেন, উচু নিচু পাহাড়ি এলাকা হওয়ায়, চট্টগ্রামের অন্তত ৩০ শতাংশ এলাকাকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুয়ারেজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেই সব এলাকা বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের।

৬টি আলাদা ক্যাশম্যানে বিভক্ত প্রকল্পের শুধু প্রথম অংশটি বাস্তবায়নে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার যোগান দিচ্ছে সরকার। অন্য ৫ টি ক্যাশম্যানের ক্ষেত্রে দাতা সংস্থা খোঁজার তাগিদ দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ধর্ণা দিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। অনেকের কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি এখনো।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়াসা। ট্রিটমেন্টপ্লান্টসহ নগরীকে ৬টি ভাগে ভাগ করে প্রথম অংশের কাজ শুরু
হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে হালিশহর-আগ্রাবাদ আর ২০৩৫ সালের মধ্যে পুরো নগরী আসবে সুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায়। ওয়াসার দাবি, এতে কর্ণফূলী ও হালদা নদী দুষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি সভ্য হয়ে উঠবে বন্দর নগরী। আর নগরবিদরা বলছেন, পরিকল্পিত নগরীর জন্য স্যুয়ারেজ অনেক গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু পাহাড়ি এলাকাসহ নানা কারণে চট্টগ্রামে প্রকল্প বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জের। সোহাগ কুমার বিশ্বাসের প্রতিবেদন। ছবি তুলছেন অমিত দাশ।

চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও ওয়াসার। কিন্তু এতোদিন শুধু পানির যোগান দিলেও বর্জ্য নিয়ে মাথা ঘামায়নি প্রতিষ্ঠানটি

আর তাই গোটা নগরীর ছোট বড় অন্তত ৪ লাখ ভবনের ৬০ লাখ মানুষের পয়:বর্জ্যসহ সবধরনের বর্জ্য নালা-নর্দমা ও খাল হয়ে মিশছে কর্ণফূলী আর হালদাতে। এতে ভয়াবহভাবে দুষনের শিকার হচ্ছে নদী দুটি। দেরিতে হলেও এই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা

গোটা নগরীকে ৩ টি প্যাকেজে ৬টি ভাগে ভাগ করে প্রথম অংশের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সাগরপারের জমিতে প্রথম প্যাকেজের ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ ২৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অন্য দুটি প্লান্টের ভুমি উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। আবাসিক এলাকায় পাইপলাইন স্থাপনের কাজও হবে শিগগির।

নগরবিদরা বলছেন, উচু নিচু পাহাড়ি এলাকা হওয়ায়, চট্টগ্রামের অন্তত ৩০ শতাংশ এলাকাকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুয়ারেজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেই সব এলাকা বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের।

৬টি আলাদা ক্যাশম্যানে বিভক্ত প্রকল্পের শুধু প্রথম অংশটি বাস্তবায়নে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার যোগান দিচ্ছে সরকার। অন্য ৫ টি ক্যাশম্যানের ক্ষেত্রে দাতা সংস্থা খোঁজার তাগিদ দিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ধর্ণা দিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। অনেকের কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি এখনো।