চট্টগ্রামে প্রবারণা পুর্ণিমার ফানুস উৎসবে মেতেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৬০১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রবারণা পুর্ণিমার ফানুস উৎসবে মেতেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। সন্ধ্যার পর ফানুসের আলোয় রঙিন ছিলো বন্দরনগরীর মেঘে ঢাকা আকাশ। দুর দুরান্ত থেকে ফানুস উৎসবে যোগ দিতে আসা বুদ্ধ ভক্তদের বিশ্বাস আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করার নামই প্রবারণা। যার আলোতে কেটে যাবে সব অন্ধকার।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের দৃশ্য এটি। হাজার হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা রং-বেরংয়ের ফানুস নিয়ে হাজির বিহার চত্বরে। সন্ধ্যার আগেই বিহারের আঙ্গিনা ছাড়িয়ে অনুরাগীদের ভিড় ঠেকে আশপাশের সড়কগুলোতে। দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়লেও তা কাটিয়ে ওঠে কিছু সময়ের মধ্যেই। প্রবারণার সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ ফানুস উড়াতে থাকে দলে দলে ভাগ হয়ে উৎসবের আমেজে।
বৌদ্ধ ধর্মমতে, আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে মহামানব গৌতম বুদ্ধ নিজের কেশ ধাতু আকাশপানে ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, যদি তার বর্ষাবাস পুর্ণতা পায় তবে এই কেশধাতু নিচে পড়বে না। তার সেই কেশধাতু আকাশে উড়ে জানান দিয়েছিলো তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আকাশে ফানুস উড়িয়ে প্রবারণার উৎসব পালন করেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যাশা, হিংসায় উন্মত্ত অশান্ত বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্যের মুলমন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়ার ব্রত নিয়েই এবারের প্রবারণার উৎসব পালন করছেন তারা।
বিকেলে এই উৎসবে যোগ দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের হুশিয়ারি জানান তিনি।
এরআগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকেই বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, প্রদীপ প্রজ্জলন, বিশ্ব শান্তি কামনায় সম্মিলিত বুদ্ধোপসনাসহ নানান ধর্মীয় আচার পালন করেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা।