চট্টগ্রামে বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতা
- আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। ১৬টি সংসদীয় আসনে ২ হাজার ২২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪৮৮টি ঝুঁকিপুর্ণ চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হকের গাড়িবহরে এভাবেই হামলা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোতাহের হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হামলার সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহার করা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জসিম জিএফএক্স-১ এখনো রয়েছে ধরা-ছোয়ার বাইরে।
সাতকানিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোতালেব সমর্থকদের বাড়িঘর ও নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভির কর্মীরা। শুধু পটিয়া আর সাতকানিয়াই নয়, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, মিরসরাইসহ বেশ কয়েকটি আসনে এমন সহিংসতা যেনো নিত্য দিনের ঘটনা।
তবে পুলিশ বলছে, প্রতিটি ঘটনায় গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তারা। জড়িতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেটাফ
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচনের আগে ঘটা সহিংসপ্রবণ এলাকাসহ গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জেলায় এক হাজার ৪২ ও মহানগরী ৪৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন এসব কেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রামের ১৬ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মহানগরে একটি ও জেলায় ৬টি আসনে ছোট-বড় অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রন করার পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের কর্মসুচীকে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের সামনে।