০৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েও নমুনা পরীক্ষায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ শনাক্ত হলেও এখন তা বেড়ে ২৪ শতাংশে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কমায় সংকট মোকবেলা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আক্রান্তের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশংকা তাদের।আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম এবং দ্বিতীয় সংক্রমণের মাঝের সময়টা সরকার উদাসীন থাকায় খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মঙ্গলবারের পরিসংখ্যন এটি। FTG-1 চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৯৪ জন। শতাংশের হিসেবে যা ১৯ দশমিক ৪৪। FTG-2 একইভাবে সোমবার ১ হাজার ৭৩৮ জনের নতুনা পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা ৩০৭ জন। FTG-3 মার্চের ২০ তারিখের পর প্রতিদিনের পরিসংখ্যন এমনই। FTG-4 ও 5 অথচ গেল বছরের নভেম্বরের শুরু থেকে মার্চের প্রথম দিক পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিলো মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর সাধারণ মানুষ যেমন বেপোরোয়া আচরণ শুরু করেছিল তেমন স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিও ছিলো প্রবল। আর তাই সংক্রমনের এই তীব্রতা।

চিকিৎসক নেতারা বলছেন, করোনার প্রথম সংক্রমণে বেসরকারী উদ্যোগে ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে দক্ষ জনবল তৈরী হয়েছে অনেক। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হলে সেগুলোও কাজে লাগাতে উদ্যোগী হতে হবে স্বাস্থ্য বিভাগকে।

আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, বেসরকারী হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সক্ষমতার সবটুকু দিয়েই সংকট মোকাবিলা করছেন তারা।

গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় নগরীর দামপাড়ায়। পুরো এক বছরে আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে ৪২ হাজারের বেশী। এরমধ্যে ৩৯৬ জনের মৃতু হয়েছে আর করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪১০ জন। বাকিরা এখনো আক্রান্ত। অথচ বিপুল সংখ্যক এই রোগীর চিকিৎসার জন্য সরকারী বেসরকারি মিলিয়ে হাজার খানেক জেনারেল বেড আর ৮৫ টি আইসিইউ বেড আছে এই বন্দর নগরীতে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ

আপডেট সময় : ০৬:২৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

চট্টগ্রামে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েও নমুনা পরীক্ষায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ শনাক্ত হলেও এখন তা বেড়ে ২৪ শতাংশে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কমায় সংকট মোকবেলা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আক্রান্তের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশংকা তাদের।আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম এবং দ্বিতীয় সংক্রমণের মাঝের সময়টা সরকার উদাসীন থাকায় খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মঙ্গলবারের পরিসংখ্যন এটি। FTG-1 চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৯৪ জন। শতাংশের হিসেবে যা ১৯ দশমিক ৪৪। FTG-2 একইভাবে সোমবার ১ হাজার ৭৩৮ জনের নতুনা পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা ৩০৭ জন। FTG-3 মার্চের ২০ তারিখের পর প্রতিদিনের পরিসংখ্যন এমনই। FTG-4 ও 5 অথচ গেল বছরের নভেম্বরের শুরু থেকে মার্চের প্রথম দিক পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিলো মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর সাধারণ মানুষ যেমন বেপোরোয়া আচরণ শুরু করেছিল তেমন স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিও ছিলো প্রবল। আর তাই সংক্রমনের এই তীব্রতা।

চিকিৎসক নেতারা বলছেন, করোনার প্রথম সংক্রমণে বেসরকারী উদ্যোগে ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে দক্ষ জনবল তৈরী হয়েছে অনেক। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হলে সেগুলোও কাজে লাগাতে উদ্যোগী হতে হবে স্বাস্থ্য বিভাগকে।

আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, বেসরকারী হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সক্ষমতার সবটুকু দিয়েই সংকট মোকাবিলা করছেন তারা।

গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় নগরীর দামপাড়ায়। পুরো এক বছরে আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে ৪২ হাজারের বেশী। এরমধ্যে ৩৯৬ জনের মৃতু হয়েছে আর করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪১০ জন। বাকিরা এখনো আক্রান্ত। অথচ বিপুল সংখ্যক এই রোগীর চিকিৎসার জন্য সরকারী বেসরকারি মিলিয়ে হাজার খানেক জেনারেল বেড আর ৮৫ টি আইসিইউ বেড আছে এই বন্দর নগরীতে।