চট্টগ্রামে সাড়ে তিন লাখ গবাদী পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
- / ১৬৩৯ বার পড়া হয়েছে
এবারের ঈদেও সাড়ে তিন লাখ গবাদী পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রামের আড়ৎদাররা। তবে ঢাকার ট্যানারী মালিকদের কাছে পাওনা টাকা ঈদের আগে বুঝে না পেলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও শঙ্কা তাদের। আর প্রতিবার বর্গফুট হিসেবে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হলেও এবার পিস হিসেবে আলাদা দাম প্রকাশ করায় মৌসুমী-ফড়িয়া ও আড়ৎদারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির আশংকা করছেন ট্যানারী মালিকরা।
চট্টগ্রামের আতুড়ার ডিপোর আড়ৎপাড়া থেকে প্রতি বছর ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ লবনজাত চামড়া যায় ঢাকার ট্যানারীগুলোতে। এবছরও একই পরিমান চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে আড়ৎদাররা। কিন্তু প্রতিবছরের মতো এবারো ঢাকার ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা বুঝে পাননি আড়ৎদাররা। ঈদের আগে টাকা না পেলে গেলবারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত বাড়তি দামে চামড়া কেনা নিয়ে শংশয় প্রকাশ করছে আড়ৎদার সমিতি।
ক’বছর আগেও ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত দেড়শো আড়ৎদার চামড়া সংগ্রহ করতো চট্টগ্রামের আতুড়ার ডিপো আড়ৎপাড়া থেকে। কিন্তু এখন এই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জনে। বকেয়া টাকা বুঝে না পাওয়ার পাশাপাশি লবন, লেবার ও পরিবহন খরচ যোগাড় করতে না পেরে ব্যবসা ছেড়েছেন অনেকে। আর ট্যনারী মালিকরা বলছেন, বর্গফুট হিসেবে চামড়ার দাম এক পিচ হিসেবে আরেক। লবনযুক্ত, লবন ছাড়া, ঢাকার ভেতরে ও ঢাকার বাইরে আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এত সব জটিল কঠিন হিসেবে নিকেশ না বোঝায় মৌসুমী ব্যবসায়, ফড়িয়া কিংবা আড়ৎদারদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ার শংকা আছে এবার। করোনার পর চাহিদা বাড়লেও রাশিয়া, ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনে যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার অর্ডার কমেছে ১৫ শতাংশের বেশি। ফলে সবগুলো ট্যানারী আগের মতো চামড়া কিনবে কিনা তা নিয়েও সংশয় জানান মালিকরা।