চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পগুলোতে কোন প্রকারের নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা
- আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পগুলোতে কোন প্রকারের নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। অবহেলিত থেকে পরিত্যাক্ত হতে বসেছে এক সময় পরিকল্পিত নগরীর স্বপ্ন দেখানো এই আবাসিক এলাকাগুলো। বাসিন্দাদের অভিযোগ সিডিএ’র বিমাতাসুলভ আচরণে জমি কিনেও বসতি গড়তে পারছেন না তারা। নগরবিদরা বলছেন, প্লট বিক্রিতে আগ্রহ দেখালেও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে ততটা আন্তরিক না হওয়ায় শহর সম্প্রসারণ হচ্ছে না। আর সিডিএ’র দাবি আবাসন খাতে ভবিষ্যতের চাপ সামলাতেই এসব প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে।
সিডিএ’র সিলিমপুর আবাসিক প্রকল্পের চিত্র এটি। তিন, চার ও পাঁচ কাঠা আয়তনের প্রায় ১৩শ’ টি প্লট নগরবাসীর কাছে বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কথা ছিল, রাস্তা ঘাটের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, শিশুপার্ক, শপিংমল থেকে খেলার মাঠ সবকিছুই থাকবে পরিকল্পিত এই নগরীতে। কিন্তু ২৫ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বরং সংস্কারের অভাবে রাস্তাঘাট গুলোও এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপায়-অন্ত না পেয়ে বরাদ্দ পাওয়া প্লট বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
একই ভয়ানক চিত্র অনন্যা, কল্পলোক, কর্ণফূলীসহ সিডিএ’র তৈরী করা একাধিক আবাসিক এলাকার। নাগরিক সুবিধার অভাবে জমি কিনেও বসতি গড়তে পারছেন না বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতা আর দুরদর্শিতার অভাবেই জনগুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পগুলোর সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
আর সিডিএ বলছে, মাস্টারপ্লানের অংশ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেই এসব আবাসিক এলাকাগুলো তৈরী করা হয়েছে নগরীর ওপর চাপ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই শহর সম্প্রসারনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। সিডিএর এসব প্লান এরিয়াগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারে সে প্রয়োজন অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।