চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দরের দুর্বল নিরাপত্তার ইস্যুটি ফের সামনে এসেছে
- আপডেট সময় : ০২:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম বন্দরের তিন নম্বর সেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দরের দুর্বল নিরাপত্তার ইস্যুটি ফের সামনে এসেছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বারবার তাগিদ দেয়ার পরও এখনো আইএসপিএস কোডের শর্ত পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারায় ক্ষুব্ধ বিদেশী সংস্থাগুলো। এই বাস্তবতায় এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নতুন সংকটের মুখে পড়তে পারে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, আইএসপিএস কোডের শর্ত পূরণে আন্তরিকতার অভাব নেই বন্দরের। তাই নিছক একটি দুর্ঘটনা কোন প্রভাব ফেলবে না আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যে।
বুধবার বিকেলে হঠাৎ করেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের তিন নম্বর সেডের ভেতরে। যেখানে রাখা ছিলো ফেব্রিক্স, কেমিক্যালসহ নিলামযোগ্য বিভিন্ন ধরনের প্রচুর দামী পণ্য।
আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা আইএসপিএস কোড অনুসরণ করতে হয় যে-কোন দেশের বন্দরকে। মার্কিন কোস্টগার্ডের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল বিষয়টি মনিটরিং করে। ২০১৭ সাল থেকে তিন বছরে দু’বার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করে বেশকিছু সুপারিশ করেছে তারা। যার মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনার পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার সুপারিশ থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির সাথে বন্দরের সক্ষমতা বাড়েনি সমান তালে। তাই বর্তমান অবকাঠামোতে আইএসপিএস কোড পুর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলা সম্ভব নয়। আবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনাও কঠিন। তাই এ মুহুর্তে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনযোগী হতে হবে বন্দরকে।
আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আইএসপিএস কোডসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শর্ত মানতে সবসময় সচেষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই নিছক একটি দুর্ঘটনা প্রভাব ফেলবে না বাণিজ্যিক সম্পর্কে।