চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের হিসেবে দেশে ভোজ্য তেলের কোন সংকট নেই
- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের হিসেবে দেশে ভোজ্য তেলের কোন সংকট নেই। বার্ষিক ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে আমদানী হচ্ছে ২০ লাখ টনের কাছাকাছি। এই মুহূর্তেও তেল বোঝাই ৫টি জাহাজ ভাসছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। এরপরও কৃত্রিম সংকট ও আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানোয় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তারা।
বেশ কয়েকমাস ধরেই ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। তবে গেল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে খোলা বাজারে তেলের সংকট তিব্র হয়েছে।
অথচ গত তিন বছরে কোন মাসেই আমদানীতে বড় ধরণের কোন পার্থক্য নেই চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের পরিসংখ্যনে। এমনকি এই মুহুর্তেও তেল বোঝায় বেশ কয়েকটি জাহাজ রয়েছে বন্দরের জেটি ও বহি:নোঙ্গোরে।
বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের বড় নিয়ন্ত্রক টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা, এস.আলম ও মেঘনা গ্রুপ। এছাড়া চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ কেন্দ্রিক ছোটখাটো কয়েকজন আমদানীকারকও রয়েছে। ২০২১ সালে পরিশোধিত ও অপরিশোধিতসহ সবাই মিলে আমদানী করে ১৮ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল। চলতি বছরেও আমদানীর এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। গ্রুপের লোগো ও ফুটেজ-১ ও গ্রাফিক্স-১ ফুটেজের ওপর লেখাগুলো গ্রাফিক্স আকারে যাবে
আমদানীকারকদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজার চড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম না বাড়ালে সাপ্লাই চেইন ভেঙ্গে পড়ার আশংকা ছিলো।
ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে, চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ভোজ্য তেলের দাম ছিলো ১৪ শো ডলারের নিচে। ফেব্রুয়ারিতে ১৫৯৬, মার্চে ১৯৫৭ সবশেষ এপ্রিলে তা বেড়ে ১৯৪৮ ডলারে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে এখন যে তেল আসছে তা অন্তত ৩ মাস আগে কেনা। তাই বর্তমান বাজার ধরে দাম নির্ধারণ করাটা সিন্ডিকেটের কারসাজি।
বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমুল্যায়ন, উতস দেশ বিশেষকরে ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানীনীতিতে পরিবর্তসহ নানান কারনে সহসায় ভোজ্য তেলের বাজারে স্থিরতা ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।