০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২টি পয়েন্টকে রেড জোন ঘোষণা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০
  • / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিপুল পরিমান রোগী সনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২টি পয়েন্টকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বহিরাগতদের আসা যাওয়াতে কড়াকরি করতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। আর পুলিশ বলছে, সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত না আসায়, কঠোর না হয়ে স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন তারা।

বন্দর নগরীর দামপাড়ায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গেল ৩ এপ্রিল। দুই মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা ছুঁয়েছে চার হাজারের ঘর। বিভিন্ন এলাকা লকডাউন, সাধারণ ছুটি, জনসমাগমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান এমন নানা উদ্যোগ ঠেকাতে পারেনি করোনার বিস্তার।

সবশেষ পুরো নগরীকে চারটি জোনে ভাগ করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে স্বাস্থ্য বিভাগ। যে এলাকায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি, সেই এলাকাকে গ্রীণ জোন, ১ থেকে ১০ জন শনাক্ত হওয়া এলাকা ব্লু, ১১ থেকে ৯৯ জনের এলাকা ইয়েলো আর শনাক্তের সংখ্যা একশো পেরোনো এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ। নগরীতে গ্রীণ আর ব্লু জোন এখন আর নেই, যেগুলো ইয়েলো আছে সেগুলো দ্রুত এগোচ্ছে রেডের দিকে।

নিয়মানুযায়ী রেড জোনে পালিত হওয়ার কথা কঠোর লকডাউন, ইয়েলোতে জনসমাগম হবে নিয়ন্ত্রীত, ব্লুতে থাকবে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধির প্রয়োগ, গ্রীণ জোনেও বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার থাকবে সংরক্ষিত। কিন্তু এসব নিয়ম কেবল খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ। নিয়ম না মানলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ এমন হুশিয়ারি চিকিৎসকদের।

পুলিশ বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে বেশী আক্রান্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছেন তারা। সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কঠোর হবেন তারা।

এককভাবে সাড়ে ৩ শো আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় রেড জোনের শীর্ষে কোতয়ালী এলাকা, পাঁচলাইশে ২২০, খুলশিতে ১৯২, পতেঙ্গায় ১৮০, হালিশহরে ১৭০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর বাইরেও নগরীর প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে করোনা আক্রান্ত রোগীরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২টি পয়েন্টকে রেড জোন ঘোষণা

আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিপুল পরিমান রোগী সনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২টি পয়েন্টকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বহিরাগতদের আসা যাওয়াতে কড়াকরি করতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। আর পুলিশ বলছে, সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত না আসায়, কঠোর না হয়ে স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন তারা।

বন্দর নগরীর দামপাড়ায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গেল ৩ এপ্রিল। দুই মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা ছুঁয়েছে চার হাজারের ঘর। বিভিন্ন এলাকা লকডাউন, সাধারণ ছুটি, জনসমাগমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান এমন নানা উদ্যোগ ঠেকাতে পারেনি করোনার বিস্তার।

সবশেষ পুরো নগরীকে চারটি জোনে ভাগ করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে স্বাস্থ্য বিভাগ। যে এলাকায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি, সেই এলাকাকে গ্রীণ জোন, ১ থেকে ১০ জন শনাক্ত হওয়া এলাকা ব্লু, ১১ থেকে ৯৯ জনের এলাকা ইয়েলো আর শনাক্তের সংখ্যা একশো পেরোনো এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ। নগরীতে গ্রীণ আর ব্লু জোন এখন আর নেই, যেগুলো ইয়েলো আছে সেগুলো দ্রুত এগোচ্ছে রেডের দিকে।

নিয়মানুযায়ী রেড জোনে পালিত হওয়ার কথা কঠোর লকডাউন, ইয়েলোতে জনসমাগম হবে নিয়ন্ত্রীত, ব্লুতে থাকবে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধির প্রয়োগ, গ্রীণ জোনেও বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার থাকবে সংরক্ষিত। কিন্তু এসব নিয়ম কেবল খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ। নিয়ম না মানলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ এমন হুশিয়ারি চিকিৎসকদের।

পুলিশ বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে বেশী আক্রান্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছেন তারা। সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কঠোর হবেন তারা।

এককভাবে সাড়ে ৩ শো আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় রেড জোনের শীর্ষে কোতয়ালী এলাকা, পাঁচলাইশে ২২০, খুলশিতে ১৯২, পতেঙ্গায় ১৮০, হালিশহরে ১৭০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর বাইরেও নগরীর প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে করোনা আক্রান্ত রোগীরা।