চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় সহিংস হয়ে উঠছে পরিবেশ
- আপডেট সময় : ০২:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে, ততোই সহিংস হয়ে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা। নির্বাচনী সহিংসতায় এরই মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে অসংখ্য কর্মী-সমর্থক। বিশেষ করে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝেই অধিকাংশ সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। বিএনপির দাবি- নির্বাচন কমিশন আর প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই সহিংসতাসহ প্রাণহানী ঘটছে নির্বাচনী প্রচারণায়। আর আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে আরো বেশি কঠোর হতে হবে ইসিকে। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি- সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট আছেন তারা।
গেল মঙ্গলবার রাতে প্রচারণার সময় পোস্টার ছেড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পাঠানটুলি এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকরা। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও করে উভয় পক্ষ। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আজগর আলী বাবুল নামে নজরুল ইসলামের এক সমর্থক। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাহবুব নামের আরো এক আওয়ামী লীগ কর্মী। ঘটনার পর বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদেরসহ তার ১৩ সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৮ জানুয়ারী নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিন নগরীর চকবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর গণসংযোগে হামলার শিকার হন ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিত। ৭ দিন চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর এক সপ্তার মধ্যেই এমন অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভোটারদের মাঝে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী সহিংসতার দায় ইসি আর প্রশাসনের ওপর চাপালেও আওয়ামী লীগ বলছে, প্রশাসনের তৎপরতায় সন্তুষ্ট তারা। তবে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরীতে আরো কঠোর হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
আর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দাবি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে আন্তরিকতার অভাব নেই তাদের। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কঠোর হবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা। অতীতে সব ধরনের নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রও জমা নেয় প্রশাসন। কিন্তু এবার তেমনটি না হওয়ায় সন্দেহ বাড়ছে ভোটারদের মাঝে। (ডিসি জিভি)