চমেক হাসপাতালের স্টোররুমে পরিত্যক্ত অর্ধশত বছরের পুরনো বিপুল পরিমান তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০
- / ১৭০৪ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোররুমে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে অর্ধশত বছরের পুরনো বিপুল পরিমান তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ । এতে উদ্বেগ জানিয়ে, ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ উল্লেখ করে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে চমেক কর্তৃপক্ষ। আর বিষেশজ্ঞরা বলছেন, সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিরা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাদেরকে শনাক্ত করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব রাসায়নিকগুলো সঠিক নিয়মে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার এই জরাজীর্ণ স্টোররুমে পরিত্যক্ত বিভিন্ন জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সম্প্রতি নতুন একটি কনষ্ট্রাকশন কাজের জন্য ঘরটি পরিস্কার করতে গেলে বিপুল পরিমাণ কেমিকেলের সন্ধ্যান মেলে। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর ফার্মাকোলজি বিভাগের জন্য আমদানী করা হয়েছিলো এসিড, এলক্যালি ও রি-এজেন্টসহ ঝুঁকিপূর্ণ এই দাহ্য পদার্থগুলো ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেডিকেলের কাজে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ক্যামিকেলই তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত। যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপুর্ণ।
ড. ফয়সাল ইসলাম চৌধুরীর মতে, এই ধরণের ক্যামিকেল দেড়শো থেকে দুইশোর বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। তাই যে-কোন ধরণের ঝুঁকি এড়াতে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে শিগগিরি। আর বিগেডিয়ার এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদফতর, পারমাণবিক শক্তি কমিশন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষকদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করার প্রক্রিয়া চলছে।