চরম ক্ষতির মুখে কুড়িগ্রামের আলুচাষী, ব্যবসায়ী ও হিমাগারের মালিকেরা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
বাজারে আলুর দরপতনে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের আলুচাষী, ব্যবসায়ী ও হিমাগারের মালিকেরা। বেশি লাভের আশায় আলু চাষ করলেও এবার খরচের অন্তত অর্ধেক লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। মুলধন হারিয়ে ব্যাংকঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে হবে ব্যবসায়ীদেরও। এ অবস্থায় বাজার মূল্য নির্ধারণ ও বিদেশে আলু রপ্তানী বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর ৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছে কুড়িগ্রামের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন আলু। লাভের আশায় জেলার হিমাগারগুলোতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আলু মজুদ করেছিলেন কৃষকরাও। কিন্তু শেষ সময়ে এসেও বাজার মূল্য না থাকায় আলু নিয়ে মহা দু:চিন্তায় পড়েছেন তারা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতিকেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা। আর এখন প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকা কেজিতে। এ অবস্থায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
তিন ভাগের এক ভাগ আলু কমদামে বিক্রি হলেও দুই ভাগ আলু এখনও পড়ে আছে হিমাগারে। এসব আলু অবিক্রিত থেকে গেলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়বেন হিমাগার মালিকরাও।
এদিকে বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় হিমাগারে সংরক্ষিত সিংহভাগ আলু অবিক্রিত রয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।
বাঙ্গালীর অন্যতম খাদ্য আলুর উৎপাদন ধরে রাখতে বিগত বছরগুলোর মত এ বছরও বিদেশে আলু রপ্তানীর পাশাপাশি সরকারীভাবে আলুর দাম নির্ধারণ করার দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।