চলে গেলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিম
- আপডেট সময় : ০৮:১১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুন ২০২০
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গবন্ধুর সহচর্যে থেকে তার পাশে দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেছেন মোহাম্মদ নাসিমের বাবা মনসুর আলী। বাবার মতোই বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে দেশ ও দলের জন্য আজীবন রাজনীতি করে গেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। রাজনীতির মাঠে রেখেছেন বাবার মতোই সাহসী ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আপোষহীন ছিল মোহাম্মদ নাসিমের পথ চলা।
আওয়ামী লীগ নেতা ও আজন্ম রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিম। বাবা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল জন্ম নেয়া মোহাম্মদ নাসিম শিক্ষাজীবন শেষ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের মধ্যদিয়ে।
সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়ে ৮০ দশকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৮৬ প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে এবং পরে ২০১৪ সালে ১২ জানুয়ারি গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া ২০১২ সালে নীতিনির্ধারনী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন ১৪ দলের মুখপাত্র
রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সরকারের সময় জেল, জুলুম ও নির্যাতন ভোগ করেছেন মোহাম্মদ নাসিম। পাকিস্তানের স্বৈরশাসন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সক্রিয় ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ ছাড়াও অগ্রসৈনিক ছিলেন দেশের সব অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সোচ্চার ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদে বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেছেন আজন্ম।অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে মাত্র ৭২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা মোহাম্মদ নাসিম।