যশোরের চাঁচড়ায় পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হচ্ছে না মাছের পোনার আধুনিক বিক্রয় কেন্দ্র
- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
- / ১৭০৪ বার পড়া হয়েছে
যশোরের মৎস্যপল্লী চাঁচড়ায় মাছের পোনার আধুনিক বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হলেও তা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হচ্ছে না। আড়াই বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নানা কারণে তা মৎস্যজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। মৎস্য চাষীরা বলছেন, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায়, কেন্দ্রটি ব্যবহারে আগ্রহী নয় মৎস্যজীবীরা।
সারাদেশে মাছের রেণু-পোনার, ৬০ ভাগ উৎপাদন হয় যশোরের চাঁচড়ার হ্যাচারি ও নার্সারিতে। এখানে বার্ষিক উৎপাদন ৬৮ হাজার কেজি রেণু পোনা। এই পোনা বিক্রির নির্ধারিত বাজার না থাকায়, মহাসড়কের পাশে খোলা স্থানেই বিক্রি করেন মাছ চাষীরা।
মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীদের দাবির পর, ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের আধুনিক পোনা বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করে মৎস্য অধিদপ্তর। ২০২০ সালের মাঝামাঝি ১১১ জনের মধ্যে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মাছ চাষীরা সেটা ব্যবহার করছেন না।
বিপুল অংকের টাকা ব্যয়ে আধুনিক মাছ বিক্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ হলেও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ঘাটতি থাকায় সুফল পাচ্ছে না মাছ চাষিরা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানান মৎস্য চাষি ও হ্যাচারি মালিকরা।
সট : জাহিদুর রহমান গোলদার, সাধারণ সম্পাদক, যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, গাড়ি পর্কিং সুবিধা না থাকায়, মাছের পোনা বিক্রেতারা ভবনটি ব্যবহার করছেন না।
যশোরে বর্তমানে দেড় লাখ লোক সরাসরি মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদনে জড়িত। প্রতিদিন ৫০টি ট্রাক, মাছের রেণুপোনা নিয়ে যশোর থেকে বাইরের জেলায় যায়।