চাঁদপুরে জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধে স্থবির ব্যবসা বাণিজ্য : ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৪৮ বার পড়া হয়েছে
চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের হঠকারি সিদ্ধান্তে স্থবিরতা নেমেছে ব্যবসা বাণিজ্যে। যানজটের ঠুনকো অজুহাতে টানা চার দিন ধরে দিনের বেলায় শহরে পণ্য পরিবহন এমনকি জরুরী ডাকবাহী গাড়িও চলাচল করতে দিচ্ছেন না তিনি। আমলে নিচ্ছেন না উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও। এতে একদিকে জরুরী সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষ, অন্যদিকে ভরা মৌসুমেও ইলিশ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। আর জরুরী সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় এক ধরনের বিচ্ছিন্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে চাঁদপুর।
চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেস বাজারে এভাবেই অলস বসে আছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, জরুরী ডাক-ডকুমেন্ট ও প্যাকেট-পার্শ্বেলবাহী গাড়িটি। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে যানজটের ঠুনকো অজুহাতে নজিরবিহীনভাবে দিনের বেলায় ডাকবাহী গাড়ি শহরে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে স্থানীয় জেলা প্রশাসন।
এরপর প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বাইরে অরক্ষিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকছে সাধারণ মানুষের আমানতবাহী পরিবহনটি। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে জরুরী সেবা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সাধারণ মানুষ।
শুধু জরুরী সেবাই নয়, জেলা প্রশাসনের এমন হঠকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৌসুমী মাছ ব্যবসায়ীরাও। তাদের দাবি, ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের সুস্বাদু ইলিশ পার্শ্বেল হিসেবে পাঠানো হয় সারা দেশে। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সেখানেও নেমেছে স্থবিরতা।
এসএ পরিবহন বলছে, জরুরী পরিসেবা বিবেচনায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের সবকটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে এসএ পরিবহনের ডাকবাহী গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করে। এমনকি এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন আদালতের নির্দেশনাও আমলে নিচ্ছে না।
দিনের পর দিন এভাবে চলায় অন্য এলাকা থেকে চাঁদপুরের পরিবহণ ভাড়াও বেড়ে গেছে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য। এভাবে চলতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর এক বিচ্ছিন্ন জেলায় পরিণত হবে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।