চাঁদপুরে নদী ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটছে ১ নম্বর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার পরিবারের

- আপডেট সময় : ০২:২১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
- / ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
চাঁদপুরে ধনাগোদা নদী ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটছে সদর উপজেলার ১ নম্বর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার পরিবারের। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বসতঘর। ঝুঁকিতে আছে মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিন অল্প অল্প করে ভাঙার কারণে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙ্গনরোধে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পাস হলেই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আব্দুল বারেক পাটওয়ারী। চাঁদপুর সদরের ১ নম্বর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দামোদরদী গ্রামের ধনাগোদা নদী পাড়ের বাসিন্দা। এর আগে দুই বার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন তিনি। এখন বসতবাড়িটি ছাড়া আর কিছু নেই তার। ভাঙন আতঙ্কে এমনি প্রায় কয়েক শতাধিক পরিবারের নির্ঘূম রাত কাটে এভাবেই। কখন যেন তলিয়ে যায় তাদের বসতভিটা। গত ৩ বছরে ধনাগোদা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ২ শতাধিক পরিবারের সহায়-সম্বল। নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে কবরস্থান, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, মন্দিরসহ আরো কয়েক শতাধিক বাড়ি-ঘর।
স্থানীয়রা বলেন, গেলো বছর ভাঙ্গন দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, গত এক মাস যাবৎ বড়দিয়া আড়ং বাজার স্ট্যান্ড থেকে দামোদরদী মিয়ার বাজার পর্যন্ত আশেপাশের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা ভাঙনের শিকার হচ্ছেন। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় ভাঙ্গন । তাই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে স্থানীয় এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলছেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।
বর্তমানে ধনাগোদার ভাঙ্গণের কবলে রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গনের শিকার হলে নিঃস্ব হবে এসব পরিবারের প্রায় ২ হাজার মানুষ। তাই ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি অসহায় নদী তীরবর্তী মানুষের।