চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পুরণ হয়নি চট্টগ্রামে
- আপডেট সময় : ০১:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে দেড়শো আড়তদারের মধ্যে এবার ঈদে চামড়া কিনেছেন মাত্র ৩৫ জন। তাই চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পুরণ হয়নি বন্দর নগরীতে। নষ্ট হয়ে গেছে বিপুল পরিমান চামড়া। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারী মালিকদের অসহযোগীতার কারণে এই অবস্থার তৈরী হয়েছে। ট্যানারী মালিকরা বলছেন, আড়ৎদারদের ঢালাও অভিযোগ শতভাগ সঠিক নয়। ক্যাব-এর অভিযোগ, সরকারের নজরদারির অভাবেই আড়তদার আর ট্যানারী মালিকরা একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাচ্ছে
চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে আতুরার ডিপো পর্যন্ত ১১২ টি তালিকাভুক্তসহ মৌসুমী চামড়ার আড়ৎ আছে দেড়শোর বেশি। কিন্তু এবার অধিকাংশ গুদামই ফাঁকা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুঁজি না থাকায় চার ভাগের এক ভাগ ব্যবসায়ীও এবার চামড়া কিনতে পারেননি। তাই ক্রেতা না পেয়ে বিপুল পরিমান চামড়া রাস্তায় ফেলে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। আড়ৎদারদের দাবি, সম্ভাবনাময় এই চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তা বাস্তবায়ন জরুরী শিগগিরি।
ট্যানারী মালিকরা বলছেন, আড়ৎদারদের ঢালাও অভিযোগ শতভাগ সঠিক নয়। এর থেকে উত্তোরণে গ্রাম পর্যায়ে মাদ্রাসা এতিমখানা ও খুচড়া ব্যবসায়ীদের চামড়া লবণজাত করণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে সরকারকে।ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব-এর অভিযোগ, ঈদের আগে শুধু চামড়ার দাম নির্ধারণ করে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েই দায় সারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বছর জুড়েই নজরদারী বাড়াতে হবে সরকারকে।
প্রাণি সম্পদ বিভাগের হিসেবে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলাগুলো মিলিয়ে এবার ৭ লাখ ১৫ হাজার পশু জবাই হয়েছে কোরবানী ঈদে। আর আড়তদারদের সংগ্রহের আছে দেড় লাখ চামড়া। গ্রাম পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কাছে আরো লাখ খানেক চামড়ার মজুদ আছে। কিন্তু বাকি চামড়ার হদিস নেই কারো কাছে।