চালের দাম কেজিতে বাড়ল ৮ থেকে ১২ টাকা
- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
পাইকারি বাজারে বেশিরভাগ চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১২ টাক পর্যন্ত । দুই বাজারে দামে বড় ধরণের পার্থক্য থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই তেমন কোনো উদ্যোগ। বাজারে এসে দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে, খুচরা বাজারে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আমদানি মূল্যের চেয়ে তিন চারগুন বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি চালের আড়ৎ। দোকানের সামনে মূল্য তালিকা টানানো থাকলেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের মধ্যে। অন্য চালের দাম অল্প কিছু বাড়লেও বাজারে বহুল বিক্রিত মিনিকেট ও বিআর-২৮ চালের দামের পাগলা ঘোড়া বেপরোয়া।
পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ থেকে ৪ টাকার তফাৎ থাকলেও খুচরা বাজারে পরিস্থিতি আরো বেপরোয়া। পাইকারি বাজারে মিনিকেট ৪৪ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে আরো ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি। এমন চিত্র বিআর-২৮ চালেও । বাজার পরিস্থিতিতে কষ্টের শেষ নেই ভোক্তাদের।
স্বস্তির বাণী নেই পেঁয়াজ বাজারে। সপ্তাহখানেক আগে দাম কিছুটা কমলেও আবারও অশান্ত পেঁয়াজের বাজার। দেশি পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ২৪০ থেকে ২৫০।
সরকারি হিসেবে, মিয়ানমার, পাকিস্তান কিংবা চীন থেকে আনা পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ৬০ টাকার নিচে হলেও কেবল পাইকারি বাজারেই মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি। আর পাকিস্তানি ১৯০ ও চীনা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে আরো অনেক বেশি দামে। কয়েকগুন বেশি দামে বিক্রির ব্যাখা নেই কারো কাছেই।
সাধারণ মানুষের দাবি, টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়ালে সাধারণের মাঝে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।