চাহিদার চেয়ে বছরে অন্তত ২ লাখ টন বেশি মাংস উৎপাদিত হচ্ছে বাংলাদেশে
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৬২১ বার পড়া হয়েছে
চাহিদার চেয়ে বছরে অন্তত ২ লাখ টন বেশি মাংস উৎপাদিত হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেশি পড়ায় রপ্তানী করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। অথচ বিশ্বজুড়ে বছরে অন্তত ৬শ’ বিলিয়ন ডলারের হিমায়িত হালাল মাংসের বিশাল বাজার রয়েছে। মুসলিম দেশ হিসেবে যেখানে ভাগ বসাতে পারে বাংলাদেশও। কিন্তু সেজন্য সরকারের সঠিক পরিকল্পনা দরকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা। যদিও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দাবি- বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- ফাওয়ের হিসেবে কোরবানীর ঈদসহ বাংলাদেশে প্রতিবছর মাংসের চাহিদা ৭৩ লাখ টন। বিপরীতে উৎপাদিত হচ্ছে ৭৫ লাখ টন। তারপরও বছরে ১০ হাজার টনেরও বেশি হিমায়িত মাংস আমদানী হচ্ছে ভারত, ব্রাজিল আর অস্ট্রেলিয়া থেকে। কারণ দেশে উৎপাদিত মাংসের চেয়ে আমদানী করা মাংসের দাম প্রায় অর্ধেক।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হিমায়িত হালাল মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে। তাই পরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়ে উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে আমদানীর পরিবর্তে মাংস রপ্তানী করতে পারে বাংলাদেশ।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, মাংস আমদানী উদারীকরণ করায় গত ক’বছর ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন দেশী উৎপাদকরা। তবে এবছর আমদানী নিরুৎসাহিত করতে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ায় সেই দুশ্চিন্তা কিছুটা কেটেছে।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানীর মূল কারণ, রপ্তানীর সম্ভাবনা আর চামড়ার ন্যায্যমূল্যকে বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদন খরচসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলোতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় পরিকল্পিত নীতি নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে। যেখানে নিশ্চিত হবে সব পক্ষের সুরক্ষা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসেবে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে দেশে অন্তত সাড়ে ৪ লাখ খামারে প্রতিবছর মোটাতাজা করা হয় অন্তত দেড় কোটি গবাদী পশু। এছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের গোয়াল থেকে বাজারে আসে আরো অন্তত ৬০ লাখ পশু। এর সাথে দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে দেশে বিপ্লব ঘটবে মাংসের বাজারে।