১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

চা-চাষীরা ১০০ কেজি কাঁচা চা-পাতার বিপরীতে মূল্য পাচ্ছে মাত্র ৬০ কেজির

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৭২১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড়ে কাঁচা চা-পাতার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আবারো মাঠে নেমেছে চা-চাষীরা। দাবী আদায়ে চলছে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ সমাবেশ। চা-চাষীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতা ১৭ টাকা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত হলেও স্থানীয় চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা মালিকরা একশ কেজি কাঁচা চা-পাতার বিপরীতে মূল্য দিচ্ছিন মাত্র ৬০ কেজির। অতিরিক্ত ৪০ কেজি চা-পাতা নিচ্ছেন একেবারে ফ্রি। এতে লাভ তো দূরের কথা– উৎপাদন ব্যয়ই তুলতে পারছেন না তারা।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে চা-চাষ নীরব বিপ্লব ঘটালেও এখন সেই চা-চাষই কৃষকদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। শুরুতে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে কিনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করলেও সেই দর এখন নেমে এসেছে ১৭ টাকায়। সাথে প্রতি একশ’ কেজি কাঁচা চা-পাতায় ৪০ কেজি কেটে ৬০ কেজির দাম দেয়ায় বাস্তব দর নেমেছে ১০ টাকায়।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে চা-চাষ নীরব বিপ্লব ঘটালেও এখন সেই চা-চাষই কৃষকদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। শুরুতে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে কিনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করলেও সেই দর এখন নেমে এসেছে ১৭ টাকায়। সাথে প্রতি একশ’ কেজি কাঁচা চা-পাতায় ৪০ কেজি কেটে ৬০ কেজির দাম দেয়ায় বাস্তব দর নেমেছে ১০ টাকায়।
অনেক চা-চাষী চা-আবাদ বাদ দিয়ে আগের ফসলে ফেরার পরিকল্পনা করলেও চা-বাগানে লগ্নি করা চড়া সুদের ঋণ পরিশোধ নিয়ে পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। চা-চাষীদের এভাবে ঠকানোর জন্য কারখানা মালিকদের অনৈতিক সিন্ডিকেটের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনসহ চা বোর্ড কর্তৃপক্ষকেও দায়ী করেছেন তারা।
স্থানীয় চা-চাষীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে কাঁচা চা-পাতার দর নির্ধারণ কমিটি যে দর নির্ধারণ করেছে, সেটি ঠিক রাখলেও কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে ৪০ শতাংশ ওজন কমিয়ে দাম দিচ্ছে।
চা-চাষে ইংরেজ আমলের নীল চাষীদের মতো বঞ্চনা চলছে বলে অভিযোগ বাগান মালিক সমিতির।
তবে কারখানা মালিকরা চাষীদের দাবী অস্বীকার করে জানান, আড়াই পাতার সাথে বুড়ো পাতাও তোলায় জেলায় উৎপাদিত চায়ের মান ভালো না। এজন্য অকশন মার্কেটে এই চায়ের দাম মিলছে কম।
তবে স্থানীয় চা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, চায়ের অকশন মার্কেটে মানভেদে চায়ের নির্দিষ্ট দর নির্ধারণ করা হলেও কারখানা মালিকরা অনৈতিকভাবে চাষীদের ঠকাচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলায় ১২ হাজার ১৩২ একর জমিতে চা চাষ করে বছরে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি কেজি কাঁচা চা পাতা উৎপাদিত হয়। যা প্রক্রিয়াকরণ করে এক কোটি ৮০ লাখ কেজি উন্নতমানের চা দেশের বাজারে প্রবেশ করে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চা-চাষীরা ১০০ কেজি কাঁচা চা-পাতার বিপরীতে মূল্য পাচ্ছে মাত্র ৬০ কেজির

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

পঞ্চগড়ে কাঁচা চা-পাতার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আবারো মাঠে নেমেছে চা-চাষীরা। দাবী আদায়ে চলছে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ সমাবেশ। চা-চাষীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতা ১৭ টাকা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত হলেও স্থানীয় চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা মালিকরা একশ কেজি কাঁচা চা-পাতার বিপরীতে মূল্য দিচ্ছিন মাত্র ৬০ কেজির। অতিরিক্ত ৪০ কেজি চা-পাতা নিচ্ছেন একেবারে ফ্রি। এতে লাভ তো দূরের কথা– উৎপাদন ব্যয়ই তুলতে পারছেন না তারা।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে চা-চাষ নীরব বিপ্লব ঘটালেও এখন সেই চা-চাষই কৃষকদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। শুরুতে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে কিনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করলেও সেই দর এখন নেমে এসেছে ১৭ টাকায়। সাথে প্রতি একশ’ কেজি কাঁচা চা-পাতায় ৪০ কেজি কেটে ৬০ কেজির দাম দেয়ায় বাস্তব দর নেমেছে ১০ টাকায়।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে চা-চাষ নীরব বিপ্লব ঘটালেও এখন সেই চা-চাষই কৃষকদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। শুরুতে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে কিনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করলেও সেই দর এখন নেমে এসেছে ১৭ টাকায়। সাথে প্রতি একশ’ কেজি কাঁচা চা-পাতায় ৪০ কেজি কেটে ৬০ কেজির দাম দেয়ায় বাস্তব দর নেমেছে ১০ টাকায়।
অনেক চা-চাষী চা-আবাদ বাদ দিয়ে আগের ফসলে ফেরার পরিকল্পনা করলেও চা-বাগানে লগ্নি করা চড়া সুদের ঋণ পরিশোধ নিয়ে পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। চা-চাষীদের এভাবে ঠকানোর জন্য কারখানা মালিকদের অনৈতিক সিন্ডিকেটের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনসহ চা বোর্ড কর্তৃপক্ষকেও দায়ী করেছেন তারা।
স্থানীয় চা-চাষীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে কাঁচা চা-পাতার দর নির্ধারণ কমিটি যে দর নির্ধারণ করেছে, সেটি ঠিক রাখলেও কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে ৪০ শতাংশ ওজন কমিয়ে দাম দিচ্ছে।
চা-চাষে ইংরেজ আমলের নীল চাষীদের মতো বঞ্চনা চলছে বলে অভিযোগ বাগান মালিক সমিতির।
তবে কারখানা মালিকরা চাষীদের দাবী অস্বীকার করে জানান, আড়াই পাতার সাথে বুড়ো পাতাও তোলায় জেলায় উৎপাদিত চায়ের মান ভালো না। এজন্য অকশন মার্কেটে এই চায়ের দাম মিলছে কম।
তবে স্থানীয় চা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, চায়ের অকশন মার্কেটে মানভেদে চায়ের নির্দিষ্ট দর নির্ধারণ করা হলেও কারখানা মালিকরা অনৈতিকভাবে চাষীদের ঠকাচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলায় ১২ হাজার ১৩২ একর জমিতে চা চাষ করে বছরে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি কেজি কাঁচা চা পাতা উৎপাদিত হয়। যা প্রক্রিয়াকরণ করে এক কোটি ৮০ লাখ কেজি উন্নতমানের চা দেশের বাজারে প্রবেশ করে।