চা বাগানে ন্যায্য শ্রম মজুরি ও শ্রমঘন্টার বৈষম্যের শিকার শ্রমিকরা
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারে চা বাগানে ন্যায্য শ্রম মুজুরি ও শ্রমঘন্টার বৈষম্যের শিকার শ্রমিকরা। সর্বনিম্ন মুজুরির সাথে রয়েছে সুনির্দিষ্ট সুবিধাদি না পাওয়ার অভিযোগ। নারী শ্রমিকদের জন্য এতো বছরেও বাগানে তৈরি হয়নি ন্যুনতম একটি শৌচাগার। মালিকদের সঙ্গে প্রতিবছর দফায় দফায় এ নিয়ে দরবার হলেও হয়নি কোন সমাধান।
১৩৬ বছর আগের শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি আদায়ে শ্রম আন্দোলন মেনেই পালন করা হয় মহান মে দিবস। কিন্তু এতবছর পরেও এসে বেতন বৈষম্যের শিকার মৌলভীবাজারের চা ৯৭টি বাগানের শ্রমিকরা। সঙ্গে রয়েছে শ্রমঘন্টার নির্দিষ্ট সময় না থাকার বিড়াম্বনা।
চা শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখা সত্বেও দারিদ্র্য তাদের নিত্যসঙ্গী।
প্রতিদিন ১২০ টাকার মজুরী দিয়ে টানতে হচ্ছে দুবির্ষসহ জীবন। যার সঙ্গী চা শ্রমিকের পরিবার ও পরিজন।
এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় শ্রমিকদের। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য নেই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার। যা তাদের সর্বনিম্ন অধিকারের একটি। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করতে হয় চা শ্রমিকদের। এতসব নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হলেও কোন নিয়মের হেরফের হয়নি এখন অব্দি।
অপরদিকে বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চা শ্রমিকদের যে দামে রেসন দেয়া হয় এবং মুজুরি দেয়া হয় যা যথেষ্ট। মোবাইল শৌচাগার বানানোর পরিকল্পনা পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি বাগানে চালুও করা হয়েছে।
বাগানে ৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান থাকলেও সারাবছর কাজ করেন একহাজার কর্মচারী।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে এ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।