চিকিৎসা সেবায় বছরে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের বেশিরভাগই হচ্ছে লুটপাট
- আপডেট সময় : ০১:৫২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
চিকিৎসা সেবায় বছরে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের বেশিরভাগই হচ্ছে লুটপাট। স্বাস্থ্য বাজেটের বড় সুবিধাভোগী এ খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারী আর ঠিকাদাররা। হাসপাতাল নির্মাণ ও সংস্কার এবং যন্ত্রপাতি ও ঔষধপথ্য কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের করের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। এদিকে, সরকারের বিপুল ব্যয়ের তুলনায় ন্যূনতম সেবাও না থাকায় দেশের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণী এখন আর সরকারী হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি এসব অনিয়ম-দূর্নীতি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করেছে।
অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মিডিয়ার সমালোচনায় স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির দায়ে গতবছর ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে।
সরকারী কয়েকটি হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে মহাহিসাব নিরীক্ষক- সিএজি’র কার্যালয় একটি প্রতিবেদন দেয়। তাতে চিকিৎসা উপকরণ গায়েব, সরঞ্জাম না পেয়েই ঠিকাদারকে বিল দেয়া, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দরে ওষুধ কেনা সহ নানা অনিয়মে রাষ্ট্রের ৩০ কোটি টাকা ক্ষতির উল্লেখ করা হয়।
গত এক বছরে সর্বোচ্চ অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং মুগদা জেনারেল হাসপাতালে।
তবে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি কেনাকাটা, ব্যবহার ও সংস্কারে বর্তমানে কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম নেই বলে দাবি সিএমএসডি পরিচালকের।
স্বাস্থ্য খাতে বিরাজমান অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে গবেষণা করে এসব রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ১৫ দফা সুপারিশ দিয়েছে টিআইবি।