চীন-ভারত দ্বন্দ্বে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে
- আপডেট সময় : ০২:২৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
চীন-ভারত যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে বাংলাদেশের আরো ২ হাজার পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে চীন। ওদিকে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভারতও আশ্বাস দিয়েছে । ভৌগলিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশকে এখন দু’ দেশই পাশে পেতে চায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে,কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার এ দুই পরাশক্তির মাঝে শান্তি ফেরানোর মধ্যস্থতায় বাংলাদেশে এখন বড় ভুমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান ও করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ব মিডিয়ায় এখন আলোচনার নতুন বিষয়বস্তু- লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনা। গেল ১৫ জুন ভারত ও চীনের নিয়ন্ত্রণ রেখায় দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এ দুই দেশের মধ্যে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কেও। চীনা পণ্য বর্জনের দাবি উঠেছে ভারতে। বেশকিছু চীনা প্রকল্পের চুক্তিও বাতিল করেছে তারা। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশকে পাশে পেতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে চীন ও ভারতের।
এরই মধ্যে আগের ৬ হাজারের সাথে আরো ২ হাজার ক্যাটাগরির বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ঘোষণা করেছে চীন। বসে নেই ভারতও। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের সূত্র ধরে বাণিজ্যিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে দিল্লী। এ সুযোগে দু’দেশের বাজার ধরতে কূটনৈতিক তৎপরতা চান ব্যবসায়ী নেতারা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারতের সঙ্গে একমাত্র বাংলাদেশের সম্পর্কই সবচে’ গাঢ়। একই সাথে চীনের সাথেও রয়েছে সামরিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সখ্যতা। তাই এ সময়ে বাংলাদেশকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ তাদের।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক’দিন আগেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর সহযোগিতা দেয়নি চীন। আন্তরিকতার অভাব ছিলো ভারতেরও। তাই সংকটকালের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুই পক্ষকে বোঝাতে পারলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথও তৈরী হতে পারে।
চীন ও ভারতের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা নিয়ে ব্যবসায়ী নেতা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গবেষকদের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা থাকলেও সবার মতে এই সময়টা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারলে নানামুখী সম্ভাবনাও অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।