চ্যাটজিপিটি ইন্টারনেট আবিষ্কারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ : বিল গেটস
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬০৫ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব প্রযুক্তিতে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন জিনিষ। তেমনি এক সংস্করণ চ্যাট…জিপিটি। মাত্র ৪ মাসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই চ্যাটবট। এ বিষয়ে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, ইন্টারনেট আবিষ্কারের মতোই তাৎপর্যপূর্ণ প্রযুক্তি পৃথিবী বদলে দেয়ার মতো সক্ষমতা নিয়ে তৈরি হয়েছে। এদিকে, সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল আনছে একই ধরণের প্রযুক্তি… বার্ড।
‘জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার’…..চ্যাট…জিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত কন্টেট ক্রিয়েটর।
প্রযুক্তির জগতে নতুন হাতছানি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বশেষ সংস্করণ। যা মানুষের নিত্য কিছু কাজের সুযোগ্য সহযোগী হতে চলেছে। ওপেন এআই প্রতিষ্ঠান গেলো বছরের নভেম্বরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় নতুন এই প্রযুক্তি। যার বুদ্ধিমত্তা সাধারন একজন মানুষের থেকেও অনেক প্রখর।
আরটিকেলস রাইটিং, ম্যাথ সল্যুশন, প্রোগ্রামিং করা এবং বাগ ফিক্সিং করা এমন কি 3D মডিউল ও ডিজাইন করতে পারে অসাধারন এই উদ্ভাবন। এই অসাধ্য সাধনের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। উদ্যোক্তা টুইটারের বর্তমান মালিক ইলেন মাস্কসহ ৬ জন।
বর্তমানের সার্চ ইঞ্জিনগুলো তথ্য খুঁজতে সাহায্য করবে। কিন্তু চ্যাট…জিপিটি একেবারে ব্যতিক্রম। সে আপনার প্রশ্নের উত্তর নিজ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সরাসরি সমাধানের পথ দেখিয়ে দেবে। এ কারণেই মানুষের সময় ও শ্রম বাঁচবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ব্যবসা ভিত্তিক প্রভাবশালী জার্মান সংবাদমাধ্যম হ্যান্ডেলস ব্লাটের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন প্রযুক্তির শীর্ষে থাকা ব্যক্তি বিল গেটস। তিনি জানান, আগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলো সব বিষয়ে লিখতে ও পড়তে পারলেও বিষয়বস্তু বুঝতে পারতো না।কিন্তু চ্যাটজিপিটির মতো নতুন প্রোগ্রামগুলো অনেক বেশি সংবেদনশীল বিষয়ে কাজ করতে সক্ষম।
আগামী কয়েক বছরে চ্যাট জিপিটি প্রযুক্তির সেরা হাতিয়ার হিসেবে বিশ্বজুড়ে ব্যবহার হবে।