ছেলেকে সুস্থ করতে বিক্রি করেছেন সহায়-সম্বল
- আপডেট সময় : ০১:৩০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
ছেলেকে সুস্থ করতে বিক্রি করেছেন সহায়-সম্বল। অসহায় পিতাকে হার মানতে হয়েছে অর্থের কাছে। ২ বছর বয়সে চিকিৎসার অভাবে ছেলে হারিয়েছে মানসিক ভারসাম্য। বিনা চিকিৎসায় ছেলেকে ২২ বছর শিকল বন্দী করে চালিয়ে যাচ্ছে সেবা। সরকারি সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে এমনটিই আশা স্বজনদের।
ধুলো বালি মাখা শরীর, মায়াভরা চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় এদিক ওদিক, বলতে পারে না কথা। পায়ে লোহার শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে তরতরে এ যুবককে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক হাসানের জীবন কাটছে এভাবেই। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারনে আর দশটা শিশুর মতো প্রানোচ্ছ্বা শৈশব কৈশর পায়নি হাসান। দিনে বাড়ি আঙ্গিনার গাছে কিংবা বারান্দার খুটিতে আর রাতে চৌকির সাথে বেধে রাখা হয় তাকে। এভাবেই ২২টি বছর শিকল বন্দী জীবন কাটছে তার।
হাসান ছাড়া পেলে হারিয়ে যায় তাই শিকল বন্দী করে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।
পরিবারের পক্ষ থেকে যদি আমাদের কাছে আসে তাহলে সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা- কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ২ ছেলের মধ্যে হাসান বড়। ২ বছর বয়সে মানসিক ভারসাম্য হারায়। হাসান ২৫ বছর বয়সের মধ্যে ২২ বছরই শিকল বন্দী।