জর্জিয়ায় গ্রেপ্তার ট্রাম্প, পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি
- আপডেট সময় : ০১:০০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬৫৬ বার পড়া হয়েছে
২০২০ সালে নির্বাচনে বেনিয়মের অভিযোগে আটলান্টায় গ্রেপ্তার হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য তাকে বন্ডের বিনিময়ে ছাড়া হয়।
আটলান্টার ফুলটন কাউন্টি জেলে মার্কিন সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে আত্মসমর্পন করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ, তিনি ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেনিয়ম এবং কারচুপি করার চেষ্টা করেছিলেন। জেলে পৌঁছানোর পর গ্রেপ্তারের সমস্ত নিয়ম পালন করা হয়। ট্রাম্পের মাগ শট অর্থাৎ, মুখের ছবি তোলা হয়েছে। যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলেই এই ছবি নেওয়া হয়। তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। রেকর্ডে লেখা হয়েছে, ৭৭ বছরের সাবেক প্রেসিডেন্টের উচ্চতা ছয় দশমিক তিন ইঞ্চি। ওজন ২১৫ পাউন্ড অর্থাৎ, ৯৭ কেজি। তার চুলের রংয়েরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ লেখা হয়েছে জেলের রেকর্ডে।
সব মিলিয়ে ২০ মিনিট আটলান্টা জেলে ছিলেন ট্রাম্প। দুই লাখ ডলারের বন্ডে সই করে পরে জামিন নেন তিনি। এর আগেও তিনবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু এই প্রথম জেলে গিয়ে আত্মসমর্পন করলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগই ফৌজদারি অপরাধের। ফলে গ্রেপ্তারের সময় একজন সাধারণ অপরাধীর মতোই দেখা হয়েছে তাকে।
সব কিছু হয়ে যাওয়ার পর নিজের প্রাইভেট জেটে ফের নিউ জার্সির দিকে রওনা হন ট্রাম্প। তার আগে রিপোর্টারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন, তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। তার বক্তব্য, ”কোনো ব্যক্তির একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ মনে হতেই পারে। এটি কোনো ক্রিমিনাল অপরাধ নয়।” এরপর নিজের সমাজ মাধ্যমের পেজে তিনি জেলে তোলা তার মাগ শটের ছবি প্রকাশ করেন। জানিয়ে দেন, ”কোনো অপরাধ ছাড়াই আমায় গ্রেপ্তার করা হলো।” সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের পেজে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
বস্তুত, এদিন আটলান্টা জেলের বাইরেও বেশ কিছু ট্রাম্প সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ, মাগ শট তোলা বাধ্যতামূলক নয়। ট্রাম্পের মাগ শট তোলার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্টকে অপমান করার জন্যই একাজ করা হয়েছে।
ডয়চে ভেলে