জানুয়ারী থেকেই চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ভারত
- আপডেট সময় : ০৪:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
জানুয়ারী মাস থেকেই পরীক্ষামুলকভাবে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ভারত। এতে আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী বন্দরগুলো তাদের মাশুল পেলেও ট্রান্সপোর্টের শর্ত নির্ধারণ হয়নি এখনো। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, দেশীয় আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের চাহিদা পুরণে হিমসিম খাচ্ছে বন্দরগুলো। এই বাস্তবতায় ট্রান্সশিপমেন্টের পরিমান নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনই ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু করতে প্রস্তুত তারা।
অবশেষে নানান আলোচনা-সমালোচনা আর পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জানুয়ারী থেকেই চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ভারত। এরই মধ্যে দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি চুড়ান্ত হয়েছে। এই সুবিধার বড় অংশই বাস্তবায়ন হবে চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে।
বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বর্তমান অবকাঠামোয় ব্যাপকভাবে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ব্যবসায়ী নেতারা। বছরে ২৬ লাখ কন্টেইনার আর ৬ কোটি টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা সম্পন্ন চট্টগ্রাম বন্দর গেলো বছর ২৯ লাখ কন্টেইনার আর ৮ কোটি টন খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং করে। এতেও চাহিদা পুরণ হয়নি বন্দর ব্যবহারকারীদের। এই বাস্তবতায় ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, খাতা কলমে যাই থাক বন্দরের সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত দিলে, যে-কোন সময় ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত তারা।
দিনে ১৪ হাজার পণ্য পরিবহণ চলাচল সক্ষমতা সম্পন্ন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে ৩০ হাজার পরিবহন। বন্দরকেন্দ্রীক রেল যোগাযোগ একেবারেই সীমিত, নৌপথে পণ্য পরিবহনে সন্তুস্ট নন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এই বাস্তবতায় ট্রান্সশিপমেন্ট শুরু হলে সবক্ষেত্রেই বহুগুণ চাপ বাড়বে। তাই এখন থেকে প্রস্তুতি না নিলে, স্থবিরতা নেবে আসবে বন্দর ব্যবস্থাপনায়- এমন আশংকা সংশ্লিষ্টদের।