জার্মানির সেরা গন্তব্য কোলনের ক্যাথিড্রাল
- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৫৬ বার পড়া হয়েছে
জার্মানি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন এবং ভাবছেন, কোন কোন জায়গা দেখা উচিত? ২০২২ সালের পরিসংখ্যনের উপর চোখ বোলালে পাঁচটি সেরা জনপ্রিয় গন্তব্য চোখে পড়বে৷
পঞ্চম স্থানে রয়েছে এসেন শহরে সলফ্যারাইন কয়লাখনি কমপ্লেক্স৷ গত বছর প্রায় ১৬ লাখ মানুষ সেখানে গিয়েছিলেন৷ সেটি এককালে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কয়লাখনি ছিল৷ আজ জায়গাটি এক শিল্পসৌধ এবং ইউনেস্কোর ঐতিহ্য তালিকার অন্তর্গত৷ বিশাল এলাকা জুড়ে কনসার্ট, উৎসব ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়৷ শিল্পক্ষেত্রের ইতিহাসও সেখানে চোখে পড়ে৷ সেখানকার বিশাল টাওয়ারকে ‘রুয়র অঞ্চলের আইফেল টাওয়ার’ বলা হয়৷ সবাই সেটির ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷
এবার বার্লিনে ফেরা যাক৷ চতুর্থ স্থানে রয়েছে ‘টোপোগ্রাফি অফ টেরর’৷ পট্সডামার প্লাৎসের কাছে জায়গাটি ১৮৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি আমলের কুখ্যাত গেস্টাপো, এসএএস বাহিনী ও রাইশ সিকিউরিটির সদর দপ্তর হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছিল৷
সেখানেই নাৎসিদের অনেক কুকীর্তির পরিকল্পনা ও ব্যবস্থপনা করা হয়েছে৷ এখন সেই জায়গায় জার্মান ইতিহাসের নৃশংস সেই অধ্যায়ের স্মৃতি অমর করে রাখা হয়েছে৷ অপরাধী ও অপরাধের শিকার হয়েছেন যে সব মানুষ, তাদের সম্পর্কে তথ্য সেখানে পাওয়া যায়৷
তৃতীয় স্থানে রয়েছে বার্লিনের ‘মিউজিয়াম দ্বীপ’ বলে পরিচিত এলাকা৷ ইউনেস্কোর ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত সেই জায়গায় বছরে প্রায় ২২ লাখ মানুষ ঢুঁ মারেন৷ সেখানে মোট পাঁচটি মিউজিয়াম রয়েছে৷ সেই সব মিউজিয়ামে মানবজাতির প্রায় ৬,০০০ বছরের ইতিহাসের অনেক নিদর্শন দেখা যায়৷ প্রাচীন মিশরের রানি নেফারতিতির বিশ্ববিখ্যাত আবক্ষ মূর্তি ও প্যার্গামন অল্টার বিশেষ আকর্ষণ৷ মাসের প্রথম রোববার বার্লিনের অনেক মিউজিয়ামে বিনামূল্যে প্রবেশ করা যায়৷ মিউজিয়াম দ্বীপও সেই তালিকায় রয়েছে৷
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হামবুর্গ শহরের এলবে ফিলহার্মোনি কনসার্ট হল৷ বছরে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ সেই জায়গা দেখতে আসেন৷ বন্দর এলাকায় পুরানো এক ইটের তৈরি গুদামের ভিত্তির উপর চমকপ্রদ সেই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে৷ ছাদের উপর এলোমেলো কাচের কাঠামো সমুদ্রের ঢেউয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ হামবুর্গের মতো বন্দর শহরে এমন ভবন বেশ মানানসই, তাই না?
ডয়চে ভেলে