জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের অন্তত এক হাজার কোটি টাকা আটকে আছে এনবিআরে
- আপডেট সময় : ০৩:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
এ্যাডভান্স ট্যাক্স বা ফেরতযোগ্য এটি হিসেবে কেটে রাখা জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের অন্তত এক হাজার কোটি টাকা আটকে আছে এনবিআরে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন অস্থির থাকার পর স্ক্র্যাপ লোহার আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীলতা এলেও তাতে ভুমিকা রাখতে পারছেন না বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। অথচ ২০১৯ সালেও এ খাতে বিশ্বে শীর্ষে ছিলো বাংলাদেশ।
করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার অস্থির হয়ে ওঠায় আগের সেই অবস্থান আর ধরে রাখতে পারেনি স্ক্র্যাপ লোহার যোগান দেয়া বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প । তবে ব্যাবসাবান্ধব পরিবেশ পেলে চলতি বছর ফের নেতৃত্বের আসনে ফেরার প্রত্যাশা এই খাতেই উদ্যোক্তাদের।
২০২০ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ৫০০ ডলারে ওঠে স্ক্র্যাপ লোহার দাম। তবে এখন ৪৩০ থেকে ৪৪০ ডলারে স্থিতিশীল আছে লোহার দাম। এতদিন বাজার ওঠা নামা করায় অনেকে জাহাজ না কিনলেও এখন কিনতে শুরু করেছে বলে জানায় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ।
২০২০ সালের বাজেটের আগে ফেরত দেয়ার শর্তে স্ক্র্যাপ জাহাজের আমদানী মুল্যের ওপর ৪ শতাংশ এটি বা এ্যাডভান্স ট্যাস্ক আদায় করার উদ্যোগ নেয় এনবিআর। সেই হিসেবে ব্যবসায়ীদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে এনবিআরের কাছে। কিন্তু গেল দেড় বছরে একটি টাকাও ফেরত পাননি ইয়ার্ড মালিকরা। এটাও এই শিল্প বিকাশে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।
বিএসবিআরএ বলছে, অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটি ফেরত পেলেও ব্যাতিক্রম ঘটেছে তৈরী পোষাকের পর রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় এই উৎসটির ক্ষেত্রে।
রি-রোলিং মিল বা রড তৈরী কারখানার প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই স্ক্র্যাপ লোহা। এছাড়া দেশের বাজারে নির্মিত বিভিন্ন ধরণের নৌ-যানসহ অন্তত ২৫ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাচামালের যোগান আসে পরিত্যাক্ত জাহাজ থেকে। তাই এই খাতটি অস্থির হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতে। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।