জুম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
বৈরী আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ায় জুম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে পাহাড়িরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বংশ পরম্পরায় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রাচীন পেশা জুম চাষ হলেও দিনে দিনে বিকল্প আবাদের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে।
চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়ির প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে জুম চাষ হয়েছে। জুমিয়া পরিবার গুলো এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধানসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে। পাহাড়ের ঢালকে চাষাবাদ উপযোগী করে বৈশাখ-জ্যেষ্ঠ মাস থেকে ধান ও বিভিন্ন শাক সবজীর বীজ বপন করেন জুমিয়ারা। বৃষ্টির পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে ফলানো ফসল কর্তন করা হয় ভাদ্র আর্শ্বিন মাস থেকে। কয়েক দশক আগেও এ চাষাবাদে জুমিয়াদের আগ্রহ থাকলেও দিন দিন তা কমছে। জুমের অনুকূল আবহাওয়া, মাটির উর্বরতা না থাকায় এবং পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে মিশ্র ফলসহ অন্যান্য বাগানের চাহিদায় বাড়ায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ চাষাবাদ পদ্ধতি।
তবে ঐতিহ্যবাহী জুম চাষ চলমান রাখতে জুমিয়াদের পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতন হওয়ার পাশা-পাশি আধুনিক ও সময়োপযোগি কৃষি উপকরণ গ্রহণে পরামর্শ দেয়ার কথা বলছেন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মাটির উর্বরতা বাড়ানোর পাশাপাশি পাহাড়কে অনাবৃত না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিজ্ঞানী
পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে জুমিয়াদের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অভ্যস্থ করতে কৃষি বিভাগ ও কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট কাজ করবে-এই প্রত্যাশা সকলের।