জৌলুস ধরে রেখেছে মোঘল আমলে নির্মিত মির্জাপুরের তিনগম্বুজ শাহী মসজিদ
- আপডেট সময় : ০৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
মোঘল আমলের নান্দনিক স্থাপত্য শিল্পকর্ম আর নিপুণ কারুকাজের সমন্বয়ে নির্মিত পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুরের তিনগম্বুজ বিশিষ্ট শাহী মসজিদটি। প্রায় পাঁচশ বছর আগে নির্মিত হলেও কালের সাক্ষী হয়ে এখনও তার জৌলুস ধরে রেখেছে। মোঘল আমলের এ স্থাপত্যশৈলী দেখতে প্রতিদিনই আসছেন সৌন্দর্য পিপাসু দেশী-বিদেশী অসংখ্য পর্যটক।
নির্মাণ শৈলীর সাথে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর মির্জাপুরের তিনগম্বুজ বিশিষ্ট শাহী মসজিদটির ঢাকা হাইকোর্টের মসজিদের অনেকটাই সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। প্রাচীন টেরাকোটা ও খোদাই করা দৃষ্টিনন্দন নকশা প্রাচীন আমলের নান্দনিকতা ও আধুনিকতা ফুটে উঠেছে।
মোঘল স্থাপত্য রীতি ও বৈশিষ্ট্যে নির্মিত এ মসজিদের গম্বুজের শীর্ষবিন্দু ক্রমহ্রাসমান বেল্ট দ্বারা যুক্ত। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের ভেতরে দুটি কাতার বা দুই লাইনে বসার সুযোগ রয়েছে। যাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে থাকে।
মসজিদটির চার কোণে চারটি মিনার রয়েছে। সামনের দেয়ালের দরজার দু’পাশে গম্বুজের সঙ্গে মিল রেখে অপর দু’টি মিনার দৃশ্যমান। নির্মাণ সময় নিয়ে আছে নানা রকমের গল্প। কেউ বলছে সুজার আমলে তৈরি, কেউ বলছেন মোঘল সম্রাট শাহ আলমের রাজত্বকালে এই মসজিদের নির্মাণকাজ হয়।
মোঘল আমলের স্থাপত্যশৈলী দেখতে প্রতিদিনই আসছেন সৌন্দর্য পিপাসু দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক। হারিয়ে যাওয়া দিন ও পুরোনো ইতিহাস ঐতিহ্যকে খুঁজে ফেরে বর্তমান প্রজন্ম। মসজিদের নান্দনিক কারুকাজ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
মসজিদের দেয়ালে টেরাকোটা, ফুল আর লতা-পাতার খোদাই করা নকশা আগত দর্শনার্থীদের সহজেই আকৃষ্ট করে। তবে বর্তমানে যত্নের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে স্থাপনায়
মসজিদটি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দেখভাল করা হচ্ছে বলে জানালেন আটোয়ায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ঐতিহাসিক এসব নিদর্শন সমূহ রক্ষণাবেক্ষণে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।