ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ৩৯ যাত্রী নিহত
- আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ৩৯ যাত্রী নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে একই পরিবারের চার সদস্য। ৭০ যাত্রীকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও আশংকাজনক থাকা ৫ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন থাকা যাত্রীদের বেশীরভাগ ৫ থেকে ১০ ভাগ দগ্ধ হওয়ায় সকলে শংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন, হাসপাতালের পরিচালক। ঘটনার তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ঘটনা স্থলে যাচ্ছে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
৩১০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনার পথে রওনা করে এমভি অভিযান। রাত ৩টার দিকে
ঝালকাঠিতে সুগন্ধার মাঝ নদীতে চলন্ত লঞ্চে আগুন ধরে যায়। ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানাচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে লঞ্চটির মধ্যে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ সময় যাত্রীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। জান বাঁচাতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। শরীরে আগুন নিয়ে একাধিক যাত্রীকে নদীতে ঝাঁপ দেন। নদীর দপদপিয়ায় পৌঁছালে রাত ৩টায় আগুন উপজেলার দিয়াকুলে গিয়ে নোঙর করে। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং নদীতে থাকা ছোট ছোট নৌ যান সাহায্যে এগিয়ে আসে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ৫ সদস্যদের তদন্ত কমিটির ঘোষণা দেন। ৬ সদস্য দিয়ে তদন্ত করবে বিডব্লিউটিএ। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠন করেছে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
৯০ ভাগ দগ্ধ রোগীদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকীরা ৫ থেকে ১০ ভাগ দগ্ধ। ফলে আশংকামুক্ত আছেন। চিকিৎসায় কাজ করছেন ৫০ জন ডাক্তার।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বরগুনার পাথরঘাটা ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। স্ত্রীসহ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তবে তার স্ত্রীর ডান পা ভেঙ্গে গেছে। হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।