ঝিনাইদহের মহেশপুরে গড়ে উঠেছে গরুর ডে-কেয়ার সেন্টার
- আপডেট সময় : ০১:৫২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের মহেশপুরে গড়ে উঠেছে গরুর ডে-কেয়ার সেন্টার। গ্রামের খামারীদের গরু এনে, সারাদিন মাঠে চড়িয়ে সন্ধ্যায় আবার ফিরিয়ে দেন তারা। এজন্য গরুপ্রতি দিতে হয় মাসিক ফি।
প্রতিদিন সকাল হলেই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির সামনে হাক ডাকেন ইদ্রিস আলী। তার ডাকে গরুর মালিক ও খামারীরা গোয়াল ঘর থেকে ছেড়ে দেন গরু। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত গরু নিয়ে দল বেঁধে ছুটে চলেন মাঠের দিকে। পিচ ঢালা রাস্তা পেরিয়ে উন্মুক্ত মাঠে চরানো হয় গরু। আর মাথায় ছাতা নিয়ে গরুর দেখভাল করেন রাখালরা।
সকালের উল্টো চিত্র বিকেলে। সন্ধ্যায় মাঠ থেকে গরু নিয়ে তা পৌঁছে দেয়া হয় কৃষকের বাড়িতে। মহেশপুর উপজেলার করিঞ্চা গ্রামে এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
এক যুগ ধরে গ্রামের ইদ্রিস আলী, আব্দুল হাকিম ও শামীম হোসেনসহ ৬ জন রাখাল গ্রামের খামারীদের গরু এভাবেই লালন-পালন করে আসছেন। এজন্য গরুপ্রতি তাদের দিতে হয় মাসে ২শ’ টাকা। মাস শেষে নির্ধারিত টাকা পেয়ে ভালোই চলছে ভিন্ন পেশায় থাকা রাখালদের। পাশাপাশি ঝামেলা বিহীনভাবে কম খরচে গরু লালন-পালন করতে পেরে খুশী খামারী ও কৃষক।
ডে-কেয়ার সেন্টারের এই ধারণাকে ইনোভেটিভ বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। এই ধারণা সারাদেশে ছড়িয়ে গেলে কমবে খামারীদের খরচ।
ওই গ্রামের ৪শ’ পরিবারে গরুর সংখ্যা আড়াই হাজার। ৪টি দলে ৬ জন রাখাল বর্তমানে ৫ শতাধিক গরু প্রতিদিন মাঠে চরান।