ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল হস্তান্তরের এক বছর পেরোতেই দেয়াল ও মেঝে থেকে খসে পড়ছে টাইল
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
- / ১৭৫৩ বার পড়া হয়েছে
হস্তান্তর করা হয়েছে এক বছর আগে। এখনও ব্যবহার হয়নি অনেকগুলো কক্ষ। এর আগেই দেয়াল ও মেঝে থেকে খসে পড়ছে টাইলস। হালকা বাতাসেই ভেঙ্গে পড়ছে কাঁচের দেয়াল। ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের এ দশায় ভোগান্তি বেড়েছে সেবা নিতে আসা রোগী ও সেবাদানকারী চিকিৎসক এবং নার্সদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি লিখিত ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানালেও এখনো সমাধান মেলেনি।
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের মানুষের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। ৮ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটি নির্মাণ করতে ব্যায় হয়েছে ৪২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।লিফটসহ, আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই হাসপাতালটিতে।
কিন্তু হস্তান্তরের এক বছর পেরোতেই দেয়াল ও মেঝে থেকে খসে পড়ছে টাইল। হালকা বাতাসেই ভেঙ্গে পড়ছে কাঁচের দেয়াল। উঠে যাচ্ছে মেঝের ইট-সুরকি। নিম্নমানের কাঠ দেওয়ায় ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে দরজাগুলো। এতে ভোগান্তী আর আতংকে রয়েছে রোগী, রোগীর স্বজন ও সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও নার্সরা।
বিষয়টি অভিযোগ আকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হলেও এখনো সমাধান মেলেনি বলে জানান হাসপাতালটির এই কর্মকর্তা।
গণপুর্ত বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, হাসপাতালের এই ত্রুটি মেরামত যোগ্য। সমস্যা সমাধানের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজ করবে।
হাসপাতাল ও গণপুর্ত বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৬ সালের ১৯ জুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০২০ সালের ২৫ জুন।