ডারবানে লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
ডারবানে লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানে হারলো টাইগাররা। প্রোটিয়াদের দেয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে, টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৫৩ রানে অলআউট হয় মমিনুলরা। টাইগারদের ৯ ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ৭ উইকেট নিয়ে সফরকারী ইনিংসে ধস নামান কেশব মাহারেজ।
চতুর্থ দিন যে শঙ্কা উঁকি দিয়েছিলো, পঞ্চম ও শেষ দিন তার মঞ্চায়ন। তবে, ব্যবধান এতোটা লজ্জার হবে তা হয়তো ভাবেনি টাইগার ভক্তরা। দ্বিতীয় ইনিংসে সামান্য লড়াইটুকু করতে পারেনি মমিনুলের দল। সাদা পোশাকে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৫৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ২২০ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে লিড দক্ষিণ আফ্রিকার।
চতুর্থ দিন হতাশ করেছিলেন সাদমান, জয় ও মমিনুল হক। ইতিহাস গড়ায় মিশনে শেষ দিনে ব্যর্থতার গল্প লিখলেন মুশফিক, লিটন, মেহেদি মিরাজরা। যেখানে ৯ ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। শান্তর ২৬ আর তাসকিনের ১৪ রান বাংলাদেশের প্রাপ্তি।
এক কেশব মহারেজের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। যার স্পিন বিষে নীল বাংলাদেশের ৭ ব্যাটার। আরেক প্রোটিয়া স্পিনার সিমন হার্মারও ভুগিয়েছে টাইগারদের। নিয়েছেন ৩ উইকেট। মাত্র ১৯ ওভারে দুই স্পিনারের পকেটে ১০ উইকেট।
ডারবান টেস্টে বড় ব্যবধানে হারার পর মুমিনুল হক অভিযোগ করেছেন, মাঠে তাদের সাথে বাজে আচরণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। মাঠের আম্পায়াররা সেদিকে নজর দেননি বলেও দাবি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেয়েও ছুঁতে পারলো না বাংলাদেশ, দায় কার? শুধুই কি ক্রিকেটারদের নাকি টিম ম্যানেজম্যান্টের। টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত কতোটা যৌক্তিক ছিলো সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সবখানে।