ড্রাকুলার দেশে অন্যরকম পর্যটন
- আপডেট সময় : ০৩:১৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৬৪৩ বার পড়া হয়েছে
ড্রাকুলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রোমানিয়া, বিশেষ করে ট্রানসিলভেনিয়ার নাম৷ ২০২২ সালে প্রায় দশ লাখ বিদেশি পর্যটক রোমানিয়ায় গিয়েছিলেন৷ তবে তাদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ড্রাকুলা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাইট পরিদর্শন করতে যান৷
কিন্তু ট্রানসিলভেনিয়ায় ড্রাকুলা ছাড়াও পর্যটন আকর্ষণ করার মতো আরো দর্শনীয় বিষয় আছে৷ তেমনই এক জায়গা ব়্যাভেনস নেস্ট৷ এটি ট্রানসিলভেনিয়ার পাহাড়ের গহীনে লুকানো একটি অভিজাত থাকার জায়গা৷
ব়্যাভেনস নেস্ট পরিত্যক্ত শেড, শস্যাগার আর আস্তাবল থেকে তৈরি করা হয়েছে, যেগুলো একসময় স্থানীয়রা তাদের পশু চরানোর জন্য ব্যবহার করতেন৷ রোমানিয়ান বংশোদ্ভূত ভ্রমণপ্রিয় মানুষ হ্যান্স এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় জ্বালানি, হিট পাম্প আমরা নিজেরাই তৈরি করি৷ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেরও সুযোগ আছে৷ কাছের এলাকা থেকে খাবার আসে৷ সেরা মাংস, আর বাগান থেকে সবজি আসে৷”
স্থানীয় অর্থনীতিও এ থেকে উপকৃত হচ্ছে৷ স্থানীয় মিস্ত্রিরা কাঠের ঘরগুলো তৈরি করেছেন৷ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফার্নিচার তৈরি করা হয়েছে৷ সবচেয়ে পুরনো বাড়িটি ১৮৯৬ সালের৷
হ্যান্স বলেন, ‘‘অনেক অর্থ ব্যয় করে বাড়িগুলো সংস্কার করা হয়েছে৷ সঙ্গে ভালোবাসাও ছিল৷ প্রতিটি অংশ সংস্কার করা হয়েছে, অনেকটা লেগো দিয়ে তৈরির মতো৷”
সাসটেইনেবিলিটি, মিনিমালিজম, শান্তি এবং প্রকৃতি: এটি কি এমন এক অভিজাত কৌশল, যেটা ব্যবহার করে রোমানিয়া আরও পর্যটক আকর্ষণ করতে পারে?
এসোসিয়েশন অফ রোমানিয়ান ট্র্যাভেল এজেন্সির আদ্রিয়ান ভোইকান বলেন, ‘‘এখানে এমন সব জায়গা আছে যেখানে বিলাসবহুলভাবে থাকার ব্যবস্থা আছে৷ কিন্তু রোমানিয়াতে আসা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শুধু ড্রাকুলার জন্য আসেন৷ কারণ তারা শুধু সে সম্পর্কেই জানেন৷ পর্যটন শিল্পে কাজ করা আমাদের ইংলিশ সহকর্মীরা একদিন দারুন একটা কথা বলেছিলেন: ‘ভয়ংকর ভ্যাম্পায়ারদের ভুলে যান!’ রোমানিয়ায় পাগল প্রকৃতি আর সংস্কৃতি আছে৷”
২০২২ সালে প্রায় দশ লাখ বিদেশি পর্যটক রোমানিয়ায় গিয়েছিলেন৷ ইউরোপের পরিচিত দেশগুলোর তুলনায় সংখ্যাটি খুবই কম৷ রোমানিয়া পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যের মধ্যে পড়ে না৷ তবে এমন ‘স্লো টুরিজম’ এর সুযোগ তৈরি করে রোমানিয়া পর্যটকদের টানতে পারে৷
ব়্যাভেনস নেস্টে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও অনেক প্রকৃতি উপভোগ করা যায়৷ টুর অপারেটররা পাহাড় পরিদর্শনেরও ব্যবস্থা করেন যেখানে দায়িত্বশীলভাবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া যায়৷
তারার নীচে মুভি প্রদর্শনী আর ক্যাম্পফায়ার৷ ব়্যাভেনস নেস্টে সন্ধ্যার কর্মসূচিগুলোও দারুন উপভোগ্য হয়ে থাকে৷
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ