ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের নৃশংসতার স্বীকারও হয়েছেন অনেক মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০
- / ১৬৮৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা চিকিৎসায় প্রতারণার কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের নৃশংসতার স্বীকারও হয়েছেন অনেক মানুষ। এমন দুজনের ঘটনা এসেছে এসএটিভির কাছে। তারা দুজনই ছিলেন শাহেদের মালিকানাধীন তথাকথিত রিজেন্ট গ্রুপের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত। হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে গিয়েও রেহাই পাননি তারা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে বিভিন্ন থানায় দেয়া হয়েছে একাধিক মামলা। নৃশংসতার শিকার এসব মানুষের এখন একটাই চাওয়া প্রতারক শাহেদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা।
শাহেদের এপিএস হিসেবে কাজ করতেন সাইফুল্লাহ সায়েম নামের এই যুবক। মোবাইলের চার্জার নিতে ভুল করায় অফিসের মধ্যে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। দু’বছর চাকরি কালীন অসংখ্যবার এমন নির্যাতন সইতে হয়েছে তাকে। পরে ৫ মাসের বেতন ফেলে পালিয়ে আসেন তিনি।
চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার যুবক আরিফুল ইসলাম সোহাগ। ২০১৪ সালে ঢাকায় গিয়ে যোগ দেন রিজেন্ট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে।কোম্পানীটির প্রতারণার চিত্র দেখে বিরক্ত হয়ে ২০১৭ সালে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। আর এতেই বিভিষিকা নেমে আসে তার জীবনে।
সাহেদের হাত থেকে বাঁচতে মালয়েশিয়াতে পাড়ি জমায় সোহাগ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে দুতাবাসের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন সাহেদ। ঢাকা-মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় দেয়া হয় একাধিক মামলা। এসব মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সোহাগের বৃদ্ধ বাবা, মা ও তিন বোনসহ পুরো পরিবারকে। তিন বছর ধরে পুলিশের হয়রানী আর মামলার ঘানি টানতে গিয়ে আজ নি:স্ব পরিবারটি।
বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করার ক্ষমতা কোথায় পেলো এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ভুক্তভোগীরা। সাহেদের সাথে তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া প্রভাবশালীদেরও বিচার চান তারা।