ঢাকার হাসপাতালগুলোতে অনিয়ম আর খামখেয়ালির মাশুল গুণছেন করোনাবিহীন সাধারণ রোগীর
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম আর খামখেয়ালির মাশুল গুণছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। করোনা মহামারীতে অন্য রোগের চিকিৎসা না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মারাও যাচ্ছেন অসংখ্য রোগী। করোনা টেস্টের রিপোর্ট না থাকাসহ নানা অজুহাতে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত দেয়া হচ্ছে মরণাপন্ন রোগীদেরও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগী এবং স্বজনরা দালালের খপ্পরে পড়ে অসহ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতালগুলোর অনিয়ম আর খামখেয়ালির মাসুল গুনছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। করোনা মহামারীতে অন্য রোগের চিকিৎসা না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মারাও যাচ্ছেন অসংখ্য রোগী।
গভীর রাতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় নানা অব্যবস্থাপনা। ভোক্তভোগিরা এসএ টিভির ক্যামেরা দেখেই এগিয়ে আসেন এবং জানান তাদের ভোগান্তির কথা।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের কর্মচারী এবং নিরপত্তাকর্মীদের ব্যবহারে অতিষ্ট অনেকেই। তারা বিভিন্ন সময়ে শারিরীকভাবে আঘাতও করে থাকে।
এব্যাপারে কথা হয় হাসপাতালের সিকিউরিটি ইনচার্জ-এর সাথে।
তবে কিছু অব্যবস্থাপনার কথা ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অভিযোগ এসেছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দুর-দুরান্ত থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে মূমুর্ষ রোগী আসছে। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর তাদের কাছ থেকে কোন কথা না শুনে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ফেরত দেয়া হচ্ছে।
রবিশাল থেকে আসা আতাহার আলী নিজেও জানেন না তার চিকিৎসা কোন হাসপাতালে হবে। তাকে নিয়ে ছুটছেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। কিন্তু গন্তব্য কোথায়? স্বজনরা জানান, বিকলে গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্য রাত পর্যন্তও কোন কিনারা করতে পারেনি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক জানান, করোনা লক্ষণ থাকায় বিভিন্ন সময় সাধারণ রোগীদের ভর্তির ক্ষেত্রে তাদেরকে মানতে হয় কঠোর বিধিনিষেধ।
রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় প্রায় একই চিত্র। নানা অজুহাত দেখিয়ে ফেরত দেয়া হচ্ছে অসংখ্য রোগীকে। এসময় এসএ টিভি ক্যামেরার সামনে রোগীর স্বজনরা তাদের নানা ভোগান্তি এবং ক্ষোভের কথা জানান।
কতৃপক্ষ বলছেন, মেডিসিন এর চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় রোগিকে মেডিসিন রিলেটেড হাসাপাতালে পাঠানো হয়।