০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

তিন মাসের ব্যবধানে ২০ শতাংশ অর্ডার কমেছে তৈরী পোশাক শিল্পে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫৭৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

তিন মাসের ব্যবধানে ২০ শতাংশ অর্ডার কমেছে তৈরী পোশাক শিল্পে। অধিকাংশ কারখানা সক্ষমতার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। সাব-কন্ট্রাক্টের গার্মেন্টগুলোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এভাবে চললে শিগগিরি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প। তবে বিজিএমইএ’র দাবি, কাস্টমস ও বণ্ডের অনৈতিক খরচ কমানো গেলে, সংকট মোকাবিলা সম্ভব। সংকটের স্থায়ী সমাধানে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের পরামর্শ চট্টগ্রাম চেম্বারের।

দেশের রপ্তানীমুখী শিল্পের ৮২ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে তৈরী পোষাক। এর মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ রফতানি হয় ইউরোপে। আর ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ আমেরিকার বাজারে। বাকিটা ভারত, চায়না, আফ্রিকা, রাশিয়া, কানাডা, জাপানসহ অন্যান্য দেশে।

করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বড় দুই রপ্তানীমুখী দেশের অর্থনীতিতে নেমেছে স্থবিরতা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্পে। ইতিমধ্যে অনেক অর্ডার স্থগিত হয়েছে। কোনোটি আবার স্লো ডেলিভারির প্রস্তাব দিয়েছে বায়াররা।ফলে গত তিন মাস ধরে আগের চেয়ে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি পড়ছে পোষাক খাতে।

আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমার পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারনে দেশের ভেতরে পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে বন্দর, কাস্টমস ও বন্ডের হয়রানি বেড়েছে। এসব কমানো গেলে এখনো সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করে বিজিএমইএ।

আর চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, একটি রপ্তানীমুখী পণ্য আর দুটি বাজারের ওপর নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতি। তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন বাজার খুজতে হবে।

দেশের তৈরী পোষাক শিল্প এমন চড়াই উৎরাই বহুবার পার হয়েছে; তাই চলমান সংকটও কেটে যাবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সহায়তা– এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তিন মাসের ব্যবধানে ২০ শতাংশ অর্ডার কমেছে তৈরী পোশাক শিল্পে

আপডেট সময় : ০২:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

তিন মাসের ব্যবধানে ২০ শতাংশ অর্ডার কমেছে তৈরী পোশাক শিল্পে। অধিকাংশ কারখানা সক্ষমতার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। সাব-কন্ট্রাক্টের গার্মেন্টগুলোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এভাবে চললে শিগগিরি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প। তবে বিজিএমইএ’র দাবি, কাস্টমস ও বণ্ডের অনৈতিক খরচ কমানো গেলে, সংকট মোকাবিলা সম্ভব। সংকটের স্থায়ী সমাধানে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের পরামর্শ চট্টগ্রাম চেম্বারের।

দেশের রপ্তানীমুখী শিল্পের ৮২ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে তৈরী পোষাক। এর মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ রফতানি হয় ইউরোপে। আর ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ আমেরিকার বাজারে। বাকিটা ভারত, চায়না, আফ্রিকা, রাশিয়া, কানাডা, জাপানসহ অন্যান্য দেশে।

করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বড় দুই রপ্তানীমুখী দেশের অর্থনীতিতে নেমেছে স্থবিরতা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্পে। ইতিমধ্যে অনেক অর্ডার স্থগিত হয়েছে। কোনোটি আবার স্লো ডেলিভারির প্রস্তাব দিয়েছে বায়াররা।ফলে গত তিন মাস ধরে আগের চেয়ে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি পড়ছে পোষাক খাতে।

আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমার পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারনে দেশের ভেতরে পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে বন্দর, কাস্টমস ও বন্ডের হয়রানি বেড়েছে। এসব কমানো গেলে এখনো সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করে বিজিএমইএ।

আর চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, একটি রপ্তানীমুখী পণ্য আর দুটি বাজারের ওপর নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতি। তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন বাজার খুজতে হবে।

দেশের তৈরী পোষাক শিল্প এমন চড়াই উৎরাই বহুবার পার হয়েছে; তাই চলমান সংকটও কেটে যাবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সহায়তা– এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।