তৈরী পোশাক রপ্তানী ২২ শতাংশ কমে বিদেশি অর্ডার ক্রমেই নিন্মমুখী
- আপডেট সময় : ০২:১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৯০ বার পড়া হয়েছে
দুই মাসের ব্যবধানে তৈরী পোশাকের রপ্তানী কমেছে ২২ শতাংশ। বিদেশি অর্ডারের যে গতি, তা ক্রমেই নিন্মমুখী। এই বাস্তবতায় ছোট-বড় অসংখ্য গার্মেন্টস অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।
গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, করোনার মতো সরকারের সহযোগীতা না পেলে, বছর শেষেই অস্থিরতা তৈরী হবে শ্রমঘন এই শিল্পে। তবে বিজিএমইএ বলছে, অর্থনৈতিক সহায়তার চেয়ে জরুরী সরকারের নীতিগত সহায়তা।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গার্মেন্ট সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে হলে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্থিরতা ফেরাতে হবে।
করোনার পর ঘুরে দাঁড়ানোর বছরে প্রথম ৮ মাসের রপ্তানী পরিসংখ্যন ছিলো আশা জাগানিয়া। কিন্তু তাতে ছেদ পড়তে সময় নেয়নি।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে আগষ্ট পর্যন্ত যেখানে প্রতি মাসে ৬৮ থেকে ৭০ হাজার টিউস রপ্তানী পণ্য বোঝাই কন্টেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে, সেপ্টেম্বরে এসে তা নেমে ৫৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনের পরিসংখ্য পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, মাস শেষে রপ্তানী কন্টেইনার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ হাজারের কম। এতে আতঙ্কিত রপ্তানী সংশ্লিষ্টরা।
গার্মেন্ট খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার পর ঘুরে দাঁড়ানোর মতো যুদ্ধের পরও সুখবর আসবে তৈরী পোষাক শিল্পে। কিন্তু ততোদিন টিকে থাকতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে।
বিজিএমইএ বলছে, দুর্নীতি আর জবাবদিহিতা না থাকায়, ঘাটে ঘাটে প্রতিবন্ধকতা আর ব্যয় বাড়ছে শিল্প খাতে। তাই দুর্যোগকালে টিকে থাকতে সরকারের নীতিগত সহায়তা জরুরী।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খোলা বাজারে ডলারের দাম ১১৫ টাকার কাছাকাছি হলেও রপ্তানীকারকরা পাচ্ছেন একশো টাকার নিচে। বড় ধরনের এই ঘাটতি পুরন করতে না পারায় অর্ডার নিয়ে যাচ্ছে প্রতিযোগী দেশগুলো।
রপ্তানী আদেশ কমে যাওয় অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানার সঙ্গে অন্তত ৪০ শতাংশ সরাসরি রপ্তানীতে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন গার্মেন্ট সংশ্লিষ্টরা।