দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
- / ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে তামিমের দল। সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে আগে ব্যাট করে তাসকিনের পাঁচ উইকেট শিকারে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে তামিমের অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসে ১৪১ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন তাসকিন। টাইগারদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বিপর্যস্ত পরিবারের পাশে থাকতে তাই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝ পথে আজ দেশে ফিরছেন সাকিব আল হাসান।
আবেগের বাড়াবাড়ি নেই অথচ সেঞ্চুরিয়নে কি কাণ্ডটাই না ঘটিয়েছে টিম বাংলাদেশ। ক’দিন আগেও ভারত যা করতে পারেনি তাই করে দেখিয়েছে তামিম, মুশফিক, সাকিব আল হাসানরা। ভারত যেখানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারের তেতো স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়াডনেতে ৯ উইকেটে জিতে প্রোটিয়া মাটিতে প্রথমবার সিরিজে জয়ে ইতিহাসের পাতায় টাইগাররা। এতে আহত বাঘ যে কতটা ভয়ঙ্কর তা হারে হারে টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের নায়ক তাসকিন আহমেদ। যার আগুন ঝড়ানো বোলিং নাকাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভেরেনেকে দিয়ে শুরু এরপর মালান, মিলার, প্রেটোরিয়াস কিংবা কাগিসো রাবাদা সবাই কাবু ঢাকা এক্সপ্রেসের কাছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রোটিয়া মাটিতে তাসকিনের পাঁচ উইকেটে, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়।
সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। মাঝে উইকেট নেয়ার মিছিলে যোগ দেন শরিফুল-সাকিব আল হাসান।
টাইগার বিষে নীল দক্ষিণ আফ্রিকা, শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অলআউট হয় ১৫৪ রানে।আপস…
ব্যাটিংয়েও স্বাগতিকদের পাত্তা দেয়নি বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্যকে আরও ছোট বানিয়েছেন তামিম লিটন। বেধর পিটিয়ে স্বাতগিত বোলারদের ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছেন এই দুই ব্যাটার।
তামিম ছিলেন আগ্রাসী। ক্যারিয়ারের ৫২তম ফিফটি তুলতে তামিম খেলেছেন ৫২ বল।
তবে, আক্ষেপে পুড়েছেন লিটন। ৪৮ রানে মাহারেজ স্পিনে কাটা পড়েন এই ওপেনার।
সঙ্গী হারালেও পথ হারাননি তামিম। সাকিবকে নিয়ে জয়ের বাকি পথ পারি দেন দেশ সেরা ওপেনার। সেঞ্চুরিয়ন মহাকাব্য শেষ তামিম অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। ১৮ রানে সঙ্গী সাকিব আল হাসান।