দখল ও দূষণে রীতিমতো বিলুপ্তির পথে ময়মনসিংহের মাকরজানি খাল
- আপডেট সময় : ০৬:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
বিশ বছর আগেও ভরাযৌবনা ছিল ময়মনসিংহ নগরীর মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী মাকরজানি খাল। সেই সময় খালে মিলতো নানা প্রজাতির দেশি মাছ। এখন দখল ও দূষণে রীতিমতো বিলুপ্তির পথে খালটি। শুধু তাই-ই নয়, খাল দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল ভবন। চলছে দখলবাজির মহোৎসব।
নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের সড়ক ঘেঁষে প্রবাহিত শতবছরের ঐতিহ্যবাহী মাকরজানি খাল। গত একযুগ যাবত খালটিকে ঘিরে শুরু হয় দখলবাজি।কমকরে হলেও শতাধিক ভবনের পেটে চলে গেছে খালটি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজেদের মর্জি মাফিক খাল দখল করে একের পর এক ভবন-বহুতল ভবনের গড়ে তুলেছেন। বছরখানেক যাবৎ চোখের সামনেই নতুন বাজার রেলক্রসিং সংলগ্ন মাকরজানি খাল ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম গড়ছেন ৭ তলা ভবন। ভবনের সীমানা প্রাচীরের পুরোটাই খালের ওপরে চলে আসায় সংকোচিত হয়ে পড়েছে খালের পানি প্রবাহ। একইভাবে মেদেনী হাইটাওয়ারসহ কমপক্ষে শতাধিক বহুতল ভবনের দখলবাজিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খালের গতিধারা।
খাল দখল করে বহুতল ভবন কেন, প্রশ্ন করলে প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, খালের জমি ভরাট হলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতো। সব নিয়মকানুন মেনেই তারা কাজ করছেন।
মূলত খালের জীর্ণদশার কারণে প্রতিবছর বর্ষা মৌসমে নগরীতে সৃষ্টি হয় ভয়ানক জলাবদ্ধতা। এসব ধারাবাহিক দখলবাজির ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের নিস্ক্রিয়তা ও উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন নাগরিক নেতারা।
খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে বরাবরই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগেই নয়, প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে এ ব্যাপারে। আর উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
মাকরজানি খাল ছাড়াও প্রভাবশালীদের দখলবাজিতে বিলুপ্তির পথে নগরীর শেওড়া, গোহাইলকান্দি এবং আকুয়া খালের ১৫০ কিলোমিটার অংশ।