দিনাজপুরে বাড়ছে চালের দাম
- আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে চালের মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করে দেবার পরও দিনাজপুরে বাড়ছে চালের দাম। মিল মালিকরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দামে তাদের ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় ক্ষতি হবে দেড়শ’ থেকে দু’শো টাকা। এমন লোকসানে চাল বিক্রি সম্ভব নয়। আর বাজার নিয়ন্ত্রণে ওএমএস চালুর পাশাপাশি পাইকারী ব্যবসায়ীরা চান চাল আমদানির সুযোগ।
সরকারের দাম বেঁধে দেয়ার পর দিনাজপুরের বাজারে আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। পঞ্চাশ কেজি ওজনের এক বস্তা চিকন চালের দাম মিলগেটে ২ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চালের দাম ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়, যা বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এই হিসেবে খুচরা বাজারে বস্তাপ্রতি যোগ হবে আরো ১শ’ টাকা। কিন্তু দিনাজপুরের খুচরা বাজারে ৫০ কেজির চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা জানান, মিলাররা চালের বস্তায় আরও ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা বেশি নিচ্ছেন।
তবে মিলাররা বলছেন, সরকারের বেধে দেয়া দামে চাল বিক্রি করতে গেলে তাদের কেজিপ্রতি ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা অর্থাৎ বস্তায় দেড়-দুশো টাকা লোকসান হবে। এদিকে চালের এমন উর্ধমুখী দামে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
বাজারে বর্ষা মৌসুমে চিকন চালের চাহিদা কমে বাড়তি চাপ পড়ে কমদামী মোটা চালের উপর। কিন্তু সে অনুযায়ী মোটা চালের সরবরাহ না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে মোটাচাল আমদানিসহ ওএমএস চালুর দাবী চালকল মালিক সমিতির এই নেতার।
চালের দাম বাড়লেই মূল কারণ বিশ্লেষণ না করে চালকলগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালকল মালিকরা। তবে আমদানীকেও সমাধান মনে করেন না সংশ্লিষ্ট কৃষিবিদ ও অর্খনীতিবিদরা।