দিন দিন উজাড় হচ্ছে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চল
- আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
- / ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে দিন দিন উজার হচ্ছে বন। এতে জীববৈচিত্র্য হারিয়ে হুমকিতে পরিবেশ। বনাঞ্চল উজারে খাদ্য সংকট পড়েছে বন্যপ্রাণী। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলছেন, দখলকরা প্রাকৃতিক বনের জায়গায় সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বন উজারের কথা স্বীকার করে বলেন, বন রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে বনখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এটি টাঙ্গাইলের মধুপুরের বনাঞ্চলের বর্তমান চিত্র। দেখলে মনে হবে, সবুজের বুকে যেন ক্ষত এঁকে দিয়েছে বনখেকোরা। ৯০ দশকে এই বনের আয়োতন ছিল ৪৫ হাজার একর। অসাধু বিট অফিসার ও রেঞ্জারদের উদাসীনতায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের জবর দখলে প্রাকৃতিক শালবনের বিস্তৃতি দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার একরে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল, সখীপুর ও মির্জাপুরে বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে প্রাকৃতিক বনের দখলকরা জায়গায় শাল গজারীর পরিবর্তে লাগানো হচ্ছে আকাশ মনি ও ইউকেলিপটাস গাছ। বন ধ্বংস করে বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক বনায়ন। আর এই সামাজিক বনায়নের নামে প্লট বরাদ্ধ নিয়ে উচ্চমাত্রার কিটনাশক ব্যবহার করে নষ্ট করা হচ্ছে মাটির উর্বরতা। খাদ্য সংকটে বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী। নির্বিচারে বন ধ্বংসের হলি খেলায় মেতেছে প্রভাবশালী মহল। ফলে ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়। এই কাণ্ড অব্যাহত থাকলে খুব শীঘ্রই বন ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য হারানোর শংকা স্থানীয়দের।
বনাঞ্চল ধ্বংসে কর্মকর্তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার। দখলকরা বনের জায়গায় নতুন করে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গাছ লাগানো হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে… বনভূমি উজার হওয়ার কথা স্বীকার করে, প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাসহ বনখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।বন বিভাগের তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ৪ উপজেলায় মোট বনভূমির পরিমাণ ১লাখ ২২ হাজার একর। এর মধ্যে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প রয়েছে ৪১ হাজার একর বনভূমি জুড়ে।